বিবিসি,
জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিনপো বন্দর থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সূত্র।
ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৬০ কিলোমিটার অতিক্রম করে জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া থেকে কেএন-১৫ নামে একটি মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে ছোড়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে এর আগে যথেষ্ট বলেছে তাঁর দেশ। তাই এবার কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগিরই এক বৈঠকে বসবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের বিষয়টি থাকবে তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয়। ওই আলোচনার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দেশটি।
গত মাসে জাপান সাগরের দিকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে তিনটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পড়ে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পিয়ঙ্গান প্রদেশে অবস্থিত বাঙ্গিয়ন বিমানঘাঁটি থেকে জাপান সাগরের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেটিই ছিল দেশটির প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছেন তাঁরা।
গত বছর বেশ কয়েকবার পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়া। দেশটির একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও আক্রমণাত্মক বিবৃতি ওই অঞ্চলে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মনে করেন কিছু বিশ্লেষক।
পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ২০০৬ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।