শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন

কলাপাড়ায় প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার সাবিনার স্কুলে যাওয়া বন্ধ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

অওরীন মাহামুদ ( পারভেজ)  কলাপাড়া প্রতিনিধি : তখন সাবিনা আক্তার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরছিল। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট। বিকেল আনুমানি চার টা। শাহআলম ফরাজীর স্ত্রী সাজেদা বেগম গরু বাধার একটি কাঠের গোছ দিয়ে সজোরে আঘাত করে সাবিনার বাহুতে। সাবিনার বাম বাহু বরাবর হাতের জয়েন্টের হাড়ে মারাত্মক আঘাত পায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠেনি সাবিনা। মেধাবী এ শিশুটি হাতের ব্যান্ডেজ নিয়ে প্রাথমিকের সমাপনি পরীক্ষা দিয়েছে।সে জিপিএ ৫ পেয়েছে। হাজীপুর মাধ্যমিক বিদালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু এখন তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। হাতের ওই আঘাত ভাল হয়নি। অসহ্য যন্ত্রণা করে, তখন বাড়িতে কাতরায়। কান্না করে। জয়েন্টের হাঁড়ের আঘাত মারাত্মক বলে সাবিনার মায়ের দাবি। নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন। না পেয়ে ফের বাড়ি চলে গেছেন। এমন নির্মম শিশু নির্যাতনের কথা বলতে সাবিনা তার মায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলাপাড়া প্রেসকাবে এসেছিলেন।জমিজমা সংক্রান্ত মামলা-বিরোধ রয়েছে সাবিনার বাবা ছিদ্দিক হাওলাদারের সঙ্গে নীলগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামের শাহআলম ফরাজীর সঙ্গে। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম এ শিশুকে নির্দয়ভাবে মারধর করে। দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসার পরও সন্তানের হাত ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছে না। স্কুলে যেতে পারছে না। সবসময় যন্ত্রণা করছে। এনিয়ে কান্না জুড়ে দেন সাবিনার মা জেসমিন বেগম। তিনি এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। পুলিশের এক কর্মকর্তা দায়সারা গোছের একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে জেসমিন বেগম ক্ষুব্ধ।চিকিৎসা এবং মামলায় বহু টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মেয়ের হাতের বড় সমস্যার শঙ্কায় চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেসমিন বেগম। আদৌ হাতের সমস্যা চিকিৎসায় ভাল হবে কি না এ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। তিনি যথাযথ বিচার চেয়েছেন। জেসমিন বেগমের প্রশ্ন জমিজমা নিয়ে মামলা আছে। যারা জিতবে তারা জমি পাবে, তাতে ছোট্ট ছেলে-মেয়ের দোষ কী। বর্তমানে সন্তানের এ অবস্থার দুশ্চিন্তার সঙ্গে জেসমিন বেগমের দুশ্চিন্তা মেয়ে সাবিনার লেখাপড়া কীভাবে চলবে। আদৌ ভাল হয়ে কবে স্কুলে যেতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451