মোঃ আশিকুর রহমান (টুটুল), নাটোর জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য প্রচীন কালের উত্তরের জনপদের অতি জনপ্রিয় লোক
সাংস্কৃতি মাদারের গান যা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আজ থেকে প্রায়
৮/১০ বছর আগেও এর বেশ প্রচলন দেখা গেছে উত্তরজনপদের ঐতিহ্যবাহী
নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রায় পাড়া ও মহল্লায় সন্ধা থেকে বাড়ির উঠানের
খোলা আকাশের নিচে শপ, পাটি ও খরকুটো পেতে গ্রামের ছোট, বড় সকল
বয়সী নারী ও পুরুষ মিলে হাজারো মানুষের ঢলে রাত ভর জমজমাট ভাবে
উদযাপিত হতো এই মাদারের গানের আশোর। যার বিনিময় এলাকায় বিরাজ
করতো উৎসব মুখর পরিবেশ। আর এই মাদারের গানকে কেন্দ্র করে বসতো
মুড়ি মুরকি সহ হরেক রকমের খাবারের দোকান। আজ তা শুধু গল্পের মত
শোনাই। হঠাত করে নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে বাঘপাড়াই
আবুল হোসেনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে গভীর রাত্রী পর্যন্ত চলে
এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদারের গানের আশোর আর এই ঐতিহ্যবাহী
গান শোনার জন্য ছোট,বড় সকল বয়সী হাজারো উৎসুক জনতা ভীরজমায়।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা এই আশোরে গান পরিবেশন করতে আসে। এই
গানকে কেন্দ্র করে বসে বিভিন্ন খাবারের দোকানপাট।এব্যাপারে উৎসুক
জনতা হেলাল,সুমন সহ আরো অনেকে প্রতিবেদক কে জানায়, এই জনপ্রিয়
গানের আশোরের কথা অনেক শুনেছি হঠাৎ এতোদিন পরে গ্রাম বাংলারর এই
আশোরে উপস্থিত হতে পেরে ভিশন ভালো লাগছে। এই ধরনের উৎসব গ্রামে
আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার
সাংস্কৃত সম্পর্কে আগামী প্রজন্মে ধারনা যোগাবে। যার মাধ্যমে তরুন
প্রজন্ম সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক থেকে বিরত থাকবে। এব্যাপারে আবুল
হোসেন জানান, মাদারের গান আমি আগে অনেক শুনেছি অনেক দিন
থেকেই এই গানের আশোর আমার বাড়িতে দেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বিভিন্ন
সমস্যার কারনে এই উৎসব টা আমি করতে পারছিলাম না আজ ছোট
পরিসরে হলেও এই গানের আয়োজন করতে পেরে এবং এতো লোকজনের
উপস্থিতি হওয়া আমার ভিশন ভালো লাগছে।