অওরীর মাহামুদ (পারভেজ) কলাপাড়া প্রতিনিধি :
কলাপাড়ায় আটক সন্দেহেভাজন চার জঙ্গীসহ অপর একজনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ পৃথক দু’টি মামলা করেছে। সন্ত্রাস বিরোধী ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে এ মামলা দুটি করা হয়েছে। সোমবার মামলা দুটি দায়ের হয়েছে। এ মামলায় আসামিরা হচ্ছে আটক হওয়া জামাল হোসেন (৩৯), পাপ্পু (৩৫), মিলন সিকদার (৩৪), বাবুল খান (৩০) ও তাদের কথ্যমতে রুবেল। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার সকালে আটকের পর রাতভর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন নদীরপাড় থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটককৃতদের সোমবার শেষ বিকালে কোর্টে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে এদের আটক করে। এসময় এদের কাছ থেকে একটি হাতে আঁকা সাদা কাগজে সাংকেতিক ম্যাপ। ইলেকট্রিক তিনটি টেপ। দুইটি হ্যান্ড গ্লাভস। ছয়টি ওষুধের কৌটা যার মধ্যে ছোট ১৩টি এবং একটু বড় ৬টি প্লাস্টিকে গুলি সদৃশ্য বস্তু। ১০ গজ ফয়েল পেপার। ৩০-৪০টি কার্বন পেপার। সেভিং রেজার ও ব্লেড এবং চারটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, এরা তিনদিন আগে থেকেই কলাপাড়ার কথিত রুবেলের বাড়িতে অবস্থান করছিল। এর বাইরে বিস্তারিত কিছুই পুলিশ তদন্তের স্বার্থে জানায়নি।
আটককৃত জামালের বাড়ি পিরোজপুর জেলার লক্ষণা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল রশীদ হাওলাদার। জামাল ঢাকার পল্টনে আলম মজুমদার ট্রাভেলিং এজেন্সির টিকেট বুকিং ক্লার্ক হিসাবে কর্মরত বলে দাবি করেছে। এছাড়া পাপ্পুর বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার হেতালবুনিয়ায়। বাবার নাম শাহাবুদ্দিন খান। মিলন সিকদারের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালীতে। তার বাবার নাম নীলকান্ত সিকদার। বাবুল খানের বাড়ি মঠবাড়িয়ার গোলবুনিয়ায়। বাবার নাম ইলিয়াস খান। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পুলিশকে একেকসময় একেক তথ্য দিচ্ছে।