গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে খালা ও ভাগ্নী
ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের মৌলভীপাড়ায় এ ঘটনা
ঘটেছে। পুলিশ তাদের তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। খালা ও
ভাগ্নী গোপালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ
ঘটনায় খালা ও ভাগ্নীর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে
এসেছে।
নিহতরা হলো, নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার মঙ্গলপুর
গ্রামের শহিদুল জামান মল্লিকের মেয়ে গোপালগঞ্জ উচ্চ
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী আফরিন তমা ও
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বড়ফা গ্রামের জাকির মোল্লার
মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া
সুলাতানা শ্রাবনী। তমা সম্পর্কে শ্রাবনীর খালা। তারা
দু’জন একই সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করতো।
তমার মামাত বোন ফাতেমা খানম জানান, শনিবার বিকেল
সাড়ে ৩টার দিকে তারা দু’জন এক সঙ্গে স্কুল থেকে
বাসায় ফেরে। তারপর তারা রুমের মধ্যে গিয়ে দরজা বন্ধ করে
দেয়। রাত ৮টার দিকে তাদের প্রাইভেট শিক্ষক পড়াতে এসে
দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো
সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে
তাদের দু’ জনকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায়
ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। পরে তাদের উদ্ধার করে
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাদের
আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে ফাতেমা কিছু জানাতে
পারেননি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: সেলিম রেজা বলেন, খালা ও
ভাগ্নীর লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল
মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে
দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিদের
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ময়না তদন্তের
রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক তথ্য জানা যাবে।