গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী
উপজেলার রামদিয়া বাজার সংলগ্ন সরকারি খাল দখল করে
মাটি ভরাটের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী ও
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সিতারামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ পানি
উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ সভাপতি মোল্লা আবুল কালাম
আজাদ তার নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে বাজার সংলগ্ন
সরকারি খালের ইজারা নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর কাছে
জানিয়েছেন। ওই সিবিএ নেতার ভাই হাসান মোল্লা তার
লোকজন নিয়ে সেখানে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নেয়। এ
ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত
হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে
দিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
এ উপলক্ষে রামদিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে
স্থানীয় বেথুড়ি ইউ পি চেয়ারম্যান ক্ষিরোদ রঞ্জন বিশ্বাস
সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে কাশিয়ানী থানা আওয়ামী
লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্য শরীফ
সোহরাব হোসেন, রামদিয়া বাজার কমিটির সাধারন
সম্পাদক বেলাল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, তহশীলদার রকিব
সরদার, যুবলীগ নেতা আমিরুজ্জামান মিয়া, কাশিয়ানী
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, রামদিয়া কলেজ
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শেখ, ব্যবসায়ী ফরহাদ
মোল্লা, শওকত মোল্লা, শাফায়েত মোল্লা ও মান্নান ফকির
প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, কাশিয়ানী উপজেলার
রামদিয়া বাজার এ অঞ্চলের মধ্যে একটি বড় ও প্রসিদ্ধ বাজার।
এই খাল দিয়ে ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে তাদের মালামাল কম
খরচে আনা নেয়া করে থাকে। খালটি যদি ভরাট করে ফেলা হয়
তা’হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মূখীন হবেন। তাই এই
খালটিতে যাতে প্রভাবশালী ওই মহলটি ভরাট করতে না পারে
তার জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই সিবিএ নেতা মোল্লা আবুল কালাম
আজাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান,
তিনি তার ছেলে শওকী আজাদের নামে এক একর জলাভূমির
জায়গা সরকারের কাছ থেকে নিয়মানুযায়ী ইজারা
নিয়েছিলেন। ইজারা নেয়া মরা খালে বাঁধ দিয়ে মাটি
ভরাটের উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন তিনি। ইতোপূর্বে
অনেকেই তার ইজারাকৃত জমির মধ্যে বাড়ি বানিয়ে
বসবাস করছেন। তারা যখনই দেখেছেন তারা উচ্ছেদ হতে
চলেছেন, তখনই তারা এই প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যবস্থা
করেছেন। তিনি আরো বলেন, তিনি শান্তি প্রিয় মানুষ।
যেহেতু এলাকাবাসী চান না তাই তিনি তার ছেলের নামে
প্রাপ্ত ইজারা বাতিল করার জন্য তিনি একটি আবেদন
করেছেন এবং তিনি তা কুরিয়ারের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর
পাঠিয়েছেন বলে জানান।