বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ কোনো আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালত কক্ষে হাজির করা যাবে না। সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সকালে ৪ আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর ব্যাখ্যার শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে হাজির হন ডিআইজি (প্রিজন) মো. তৌহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়।পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ডিআইজি প্রিজন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছি ৪ জন আসামিই জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) সদস্য ছিলেন। আইন অনুযায়ী, পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতেই যেকোনো আদালতে আমরা আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠাই। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আদালত বলেছেন, ভবিষ্যতে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আর আদালত কক্ষে পাঠানো যাবে না। আমরা আদালতের নির্দেশনা মেনে চলবো।গেলো ৭ ফেব্রুয়ারি বিনা বিচারে কারাগারে থাকা ১০ আসামির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিকে পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে হাবিবুর রহমান ওরফে ইসমাইল, মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না, নাসির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়।ওই ৪ জনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করার ঘটনায় ডিআইজিকে (প্রিজন) গেলো ৯ মার্চ উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই সময় ডিআইজি প্রিজন দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আদালতে ব্যাখ্যা দেন ঢাকার সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির।ব্যাখ্যায় বলা হয়, ৪ আসামির সবাই জেএমবির সদস্য হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হয়।