মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কাজ না করে ৪০ দিনের কর্মসূচীর টাকা উত্তোলন!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭
  • ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে

কাগজে-কলমে ভূয়া প্রজেক্ট দেখিয়ে গ্রামীণ

অবকাঠামো উন্নয়ন অতি দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচীর

আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচীর টাকা আত্মসাৎ করেছেন

এক ইউপি চেয়ারম্যান।

কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

মোঃ মনিরুল আলম খান সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের

যোগসাজসে এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ

উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত

অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে প্রকাশ, কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম খান ২০১৬-১৭

অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর ভূয়া কাজ

দেখিয়ে একটি প্রজেক্টের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ

করেছেন। ওই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য

সাকায়েত হোসেন মোল্যা একজন সৎ ও সহজ-সরল

প্রকৃতির লোক। এ সুযোগে চেয়ারম্যান তাকে একাই

কাগজে-কলমে গোপনে দু’টি প্রজেক্টের কর্মসূচী

প্রকল্প চেয়ারম্যান (সিপিসি) করেন। কৌশলে ওই ইউপি

সদস্যের সই নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজসে চেয়ারম্যান ২৭ জন

শ্রমিকের তিন সপ্তাহের কাজের টাকা উত্তোলন করে

আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে বাকী টাকা উত্তোলনের জন্য

ইউপি সদস্য সাকায়েত হোসেনের কাছে সই চাইলে

তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্যান্য ইউপি সদস্যদের

জানান। পরে তাকে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের

দেয়া কোন কাগজে সই না করার জন্য সতর্ক করে দেন।

ইউপি সদস্য সাকায়েত হোসেন মোল্যা ঘটনার সত্যতা

স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে একটা

কাগজে সই নিয়েছেন, কিন্তু আমি বিষয়টি প্রথমে

বুঝতে পারিনি। পরে আবার চেয়ারম্যান সই চাইলে আমি

আর দেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের একাধিক ইউপি

সদস্য বলেন, চেয়ারম্যানের এ ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতির

কারনে ইউনিয়নের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এছাড়াও

তিনি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও পঙ্গু ভাতার কার্ড

বন্টনেও অনিয়ম করছেন। স্বজনপ্রীতি করে তার ভাবাপন্ন ও

নিজস্ব লোকদেরকে দিচ্ছেন। ফলে এলাকার সাধারণ জনগণের

মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুল আলম খান এ সব

অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার শ্রমিকরা নিয়মিত

কাজ করছেন এবং কাজ করে তারা টাকাও পাচ্ছেন।

কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ

আলাউদ্দিন বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার

জানা নেই।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম

মাঈন উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি

বলেন, আমি বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451