তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
প্রেমিকের কাছে আর কোন চিঠি লিখবেনা মুক্তি রাণী । এটাই ছিলো মুক্তি
রানীর শেষ চিঠি। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে মুক্তি রাণী নামের
এক আদিবাসি গৃহবধু প্রতারিত হয়ে অবশেষে আত্ব হত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
মুক্তি রাণী উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামের ওতুল খাঁখাঁ’র স্ত্রী।
প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার লেখা শেষ চিঠি নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গুল্টা গ্রামের পার্শ¦বর্তী গ্রামের ক্যাবল ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ
কারিতাশ ভিত্তিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক এক শিশু সন্তানের জননী মুক্তি রাণীর
সাথে কৌশলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর একপর্যায়ে মোবাইল
ফোনে মুক্তির নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার
হুমকী দিতে থাকে। নিরুপায় গৃহবধু সোমবার দুপুরে গ্যাস ট্যালেট খেয়ে
আত্বহত্যা করে। মুক্তির মামা শ্রী চন্দন এক্কা জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় মুক্তি তার
লেখা শেষ চিঠির বিষয়ে আমাকে বলে যায়। আর কখনো চিঠি লিখবেনা মুক্তি
রানী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন জানান, শত মানুষের সম্মুুখে মুক্তির স্বামী
ওতুল তাড়াশ থানা পুলিশকে তার স্ত্রীর লেখা শেষ চিঠি এবং মোবাইল ফোনটি
দিয়ে বলেন, হামিদের কারণেই আমার স্ত্রী আত্বহত্যা করেছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান বলেন, লাশ
ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে
মুক্তির আত্বহত্যার জন্য দায়ি ক্যাবল ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ শাস্তির দবিতে গুল্টা
এলাকার আদিবাসিরা এক বিখোভ করেছেন বলে জানা গেছে #