গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া

উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে

হাজী মোকাম্মেলের ছেলে ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি

সদস্য শেখ কামাল হোসেনের বালি উত্তোলনের পাওনা টাকা

না দিয়ে উপরন্ত ঠিকাদারগন তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি

প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া সড়কের

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়ীয়া

গ্রামে একটি ব্রিজ নির্মানের কাজ পেয়েছেন

ঠিকাদার শুকুর মিয়া, নয়ন ও ফিরোজ। তাদের ব্রিজ তৈরীর

স্থানে বালু ভরাটের কাজ দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ

কামাল হোসেনকে বিনিময়ে তাকে ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য

একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ইউপি

সদস্য শেখ কামাল হোসেন বালু সরবরাহ করেন। বালু সরবরাহ

করার সময়ে ঠিকাদার গং ইউপি সদস্য শেখ কামাল হোসেন

কে নগত ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। বাকি টাকা দেওয়া হবে

বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। দীর্ঘ দিন যাবত ইউপি সদস্য

শেখ কামাল হোসেন কে পাওনা টাকা না ঠিকাদার গং

বিভিন্ন ভাবে হুমকি অব্যহত রেখেছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য শেখ কামাল হোসেন

জানান, আমাদের এলাকায় একটি ব্রিজের নির্মান কাজ

করার জন্য ঠিকাদার শুকুর মিয়া, নয়ন ও ফিরোজ আমাকে

বালু দেওয়ার কথা বলে এবং তারা আমার সাথে একটি

চুক্তিপত্র করে। আমি তাদের চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রয়োজন

মত বালু সরবরাহ করি। তারা আমাকে আমার পাওনা টাকা না

দিয়ে শুধু কালক্ষেপন করতে থাকে। আমি তাদের কাছে বার বার

পাওনা টাকা চাইলে তারা বর্তমানে আমাকে বিভিন্ন

ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে চরম

নিরাপত্তাহীনাতায় ভুগছি। আমি আমার পরিবার পরিজন

নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমি আমার পাওনা

টাকা পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার শুকুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা

হলে তিনি বলেন, আমরা টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া সড়কের

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়ীয়া

গ্রামে একটি ব্রিজ নির্মানের কাজ পেয়েছি। ব্রিজের

কাজের জন্য বালুর প্রয়োজন পড়ায় আমরা প্রথমে স্থানীয়

যুবক কেরামতের সাথে চুক্তিপত্র করি। সে যখন বালু দিতে

ব্যর্থ হয় তখন আমরা নতুন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ

কামাল হোসেনের সাথে চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী তাকে

সব টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু এখন সে অতিরিক্ত টাকা

পাওয়ার আশায় আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছে। তার

কারনে আমরা সুষ্ঠ ভাবে ব্রিজ নির্মানের কাজ করতে

পারছি না।

তিনি আরো বলেন, আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ

কামনা করছি। যাতে করে আমরা ঠিকাদাররা সুষ্ঠ ভাবে

সরকারি কাজ সম্পাদন করতে পারি তাহার ব্যবস্থা যেন

প্রশাসন করে।

বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা

বিরাজ করছে। উক্ত ঘটনার একটি সুষ্ঠ সমাধান কামনা

করেছে এলাকাবাসী।