সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হোয়াটসঅ্যাপে তালাক পাওয়া দুই নারী,স্বামীদের বিরুদ্ধে লড়ছেন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭
  • ৪১১ বার পড়া হয়েছে

এনডিটিভি,

বছর কয়েক আগে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহরে হেনা ফাতিমা ও বাহরাইন নূরের বিয়ে হয়েছিল সায়েদ ফায়াজউদ্দিন ও উসমান কোরায়েশি নামের দুই ভাইয়ের সঙ্গে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায় ওই সহোদর। একদিন হেনা ও বাহরাইনের মুঠোফোনের পর্দায় ভেসে উঠল ‘তালাক’ ‘তালাক’ ‘তালাক’। চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলের মাধ্যমে ওই বার্তাগুলো পাঠান তাঁদেরই প্রবাসী স্বামী।

ছয় মাস আগে তালাক পাওয়া হেনা বলেন, ‘প্রতিদিন সে (ফায়াজউদ্দিন) আমাদের সন্তানদের ভিডিও দেখতে চাইত, তাঁরা কী করছে জানতে চাইত। হঠাৎ একদিন সে বলল, তালাক। তাঁকে বলতে হবে, আমি কী ভুল করেছি। আমার কী ভুল আছে। এটা ঠিক নয়।’

হেনা অভিযোগ করে বলেন, বিচ্ছেদের পর দুই মেয়েশিশুসহ তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাহরাইন নূরের স্বামী উসমান কয়েক মাস আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। গত মাসে বাহরাইনকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তালাক দেন উসমান। এর পর পরই তাঁকেও শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

ওই দুই নারীর শ্বশুর আবদুল হাফিজ জানান, তাঁর দুই ছেলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছুই বলার নেই। তাঁর ছেলেরা বিচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ ভারতে পাঠিয়েছে।
এদিকে তালাক পাওয়া দুই নারীই জানান, আকস্মিক বিচ্ছেদের প্রতিবাদে তাঁরা শ্বশুরবাড়ির সামনে প্রতিবাদে বসেন। তবে স্বামীপক্ষের কাছ থেকে মেলেনি কোনো সমাধান। এর পরই পুলিশের শরণাপন্ন হন তাঁরা।

পুলিশ জানায়, ওই দুই নারীর স্বামী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সত্যনারায়ণ নামের পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তালাক দেওয়া হয়েছে, যা মোটেও ইসলামী শরিয়াহসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন ওই দুই নারী। এ ছাড়া তাঁদের তালাকের কোনো কাগজপত্রও দেওয়া হয়নি। তাঁদের স্বামীরা বিচ্ছেদ চাইলে ইসলামী রীতি অনুযায়ী করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451