নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বুঝানো হয় । এর বিপরীত পুরুষ , নর প্রভৃতি ।
যেখানে জন্ম থেকেই বঞ্চনা আর অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে হয় নারীদের। পুতুল খেলার বয়সেই যেতে হয় স্বামীর ঘরে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীরা প্রাথমিক শিক্ষারগন্ডি পেরুলেও উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন থেকে যায় অধারে। দেখা যায় প্রাথমিকের গন্ডিও পার করেন না দরিদ্র বাবা-মা।কোনো কোনো শিক্ষিত বাবা-মা তার কন্যা সন্তানকে লেখাপড়া শিখালেও অধিকাংশ দরিদ্র ও অশিক্ষিত বাবা-মা তার কন্যা সন্তানের চেয়ে ছেলে সন্তানের শিক্ষায় গুরুত্ব দেন বেশি।
নারীর মন পাখির মত নয়!!
তারা একটি দরখাস্তের কাছে বন্ধী!!
ছাত্রী জীবনে ছুটি লাগলে স্যারের কাছে।বিয়ের পর নাইওর লাগলে স্বামীর কাছে। বুড়ো বয়সে পেটের জ্বালায় ছেলের কাছে। সিলাবাসে এটাকে বন্ধন বলে চালিয়ে দিলেও ওটার শুদ্ধ বানান হবে বন্ধী।
নারীদের আমরা যতই আবেগী বলি, দুর্বল বলি না কেন,তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা সত্যি অসাধারণ।নারীরা হয়তো ছোট্ট কিছু হলেই উহ,আহ..করে কিংবা ইনজেকশনের সূচ ফোটানোর মত ক্ষুদ্র আঘাতও তারা ভয় পায়।কিন্তু তারাই আবার প্রয়োজনে ডেলিভারির মত কয়েকশগুণ কষ্টও সহ্য করতে পারে!! পারে প্রয়োজনে প্রিয়জনের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে।সারাদিন কষ্ট করে রান্নাবান্না করে
স্বামী- সন্তানের ক্ষুধা দূর করার মধ্যেই তারা শান্তি খুঁজে পায়, সারাদিনের কষ্টের কথা ভুলে যায়। সেটা আপনি আপনার মা’র দিকে তাকালেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছে গুলো মনের অনুভূতি গুলো।ত্যাগ করতে হয়। পিতার ঘর ত্যাগ করতে হয়।বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার
নাম। সন্তান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম…খাওয়া -দাওয়া।
অসীম ধৈর্য, ত্যাগ, কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা! আপন জনদের খুশী রাখার জন্য নিজের সবকিছুকে বিসর্জন দেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা একমাত্র নারীদের কেই দিয়েছেন। তাই নারীদের বুঝতে শিখুন।তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবেন না।আপনি যদি তাকে সম্মান দিতে না পারেন, তাহলে অন্তত অসম্মান করবেন না।
নারীদের মন খুব নরম। সেই নরম মনে কখনো আঘাত করবেনা।কখনো কষ্ট দিবেনা। শুধু তাকে আপন করে একটু ভালবাসা দিয়ে দেখো। সমস্ত পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধুই আপনার জন্য,
নারীরা সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি একটি নারী পারে তার অগুছালো প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার মায়ায় যত্ন করে গুছিয়ে তুলতে।
“ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও নারীরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়!
ঠিক তেমনি,
অসংখ্য কষ্ট , যন্ত্রণা পেয়েও নারীরা মায়ার টানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য নারীরা মায়াবতী।
লেখক……..
মো:জুয়েল রানা তালুকদার
মানবাধিকার ও সমাজ কর্মী