চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জে আলোচিত বিউটি পার্লার মালিক মমতাজ বেগম রিক্তা হত্যার একমাত্র অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার একদিনের মাথায় পুলিশের কাছে ফুপুকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করে ঘাতক শুভ। পুলিশ জানান, সামান্য জমি নিয়ে বিরোধ ছিল তাদের। তার জন্য আপন ফুপুকে নির্মমভাবে হত্যা করে শুভ।
তাই পথের কাঁটা সরাতে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে হত্যার কৌশল রক্ত করে শুভ।শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেসব্রিফিংয়ে এমনটা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে। এসময় তিনি আরো বলেন, জমি নিয়ে ফুপুর সঙ্গে সামান্য বিরোধ ছিল শুভর বাবা আব্দুল মালেকের। আর নিয়ে বিরোধ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে পথের কাঁটা সরাতে ফুপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে শুভ। তাও ভারতীয় সিরিয়াল দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করে। কিভাবে খুন করতে হবে শেখে। তাই মাথার পেছনে প্রথমে হাতুড়ির আঘাত করে, তারপর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ এবং সবশেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে রিক্তার নিথর দেহ বসতঘরের পাশে টয়লেটে ফেলে দেওয়া হয়।
এদিকে, এরইমধ্যে স্ত্রী হত্যার সংবাদ পেয়ে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন তাঁর স্বামী। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রীর এমন মৃত্যু। তাই নির্মম এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বামীসহ স্বজনরা।
অন্যদিকে, প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরির্দশক মো. সুমন মিয়া।
বিউটি পার্লারের মালিক মমতাজ বেগম রিক্তার হত্যাকারী শুভ রাজধানী ঢাকায় ইউসেপ নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা আব্দুল মালেক খুনের শিকার রিক্তার বড়ভাই। শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয় শুভকে। এসময় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। পরে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে।