অনলাইন ডেস্কঃ প্রশ্ন তৈরিকারী, বিজিপ্রেস ও জেলা পর্যায়ের কালেক্টর অফিস-এ তিনধাপে যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। জানালেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আব্দুল বাতেন বলেন, চক্রটি বিভিন্ন কৌশলে পরীক্ষার আগে প্র্রশ্নপত্র ফাঁস করে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রশ্নপ্রণেতা, ছাপাখানার লোক ও প্রশ্ন গ্রহণকারীরা। এমনকি কোচিং সেন্টারগুলো এর সঙ্গে জড়িত।তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে কিছু কোচিং সেন্টার জড়িত থাকার তথ্য আমাদের কাছে আছে। তারা ব্যবসা প্রসারে প্রশ্ন ফাঁসের মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সদস্য রফিকও কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সদস্যরা জানিয়েছে তারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভূয়া আইডি খুলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেয়।এবারের এসএসসি পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসব প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়া হয়। এরপরই তা তদন্তে নামে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা পুলিশ।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কুষ্টিয়া থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রমন হোসেন মাহির, রাজিব আলী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, তারিকুজ্জামান হিমেল, আবির, লিটন মিয়া, জহিরুল ইসলাম শুভ ও রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে রফিকুল রাজধানীর কমলাপুর শেরে-ই বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।