শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

মোরেলগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৭ জন শিক্ষকের পদ শূণ্য, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২৫২ বার পড়া হয়েছে

   এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা ৩০৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৭ জন শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি ও নবসরকারি ৬৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও ১৩৪টি বিদ্যালয়ে ১৬৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূণ্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলোতে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে। আবার একই সাথে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শিক্ষক শূণ্য এসব বিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার মান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ৩০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ ও ১৩৪টি বিদ্যালয়ে ১৬৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪৮টি বিদ্যালয়ে ৬৭টি সহকারী শিক্ষক পদ এবং ১৬৫টি নবসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৪টি প্রধান শিক্ষক ও ৮৬টি বিদ্যালয়ে ১০২টি সহকারী শিক্ষক পদ শূণ্য। সব মিলিয়ে ২৩৮টি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য থাকায় এসব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান ক্রমান্ময়ে নিন্মগামী হচ্ছে বলে অভিভাবকরা মনে করছেন। শিক্ষক শূণ্য থাকা বেশ কিছু বিদ্যালয়ে মাত্র ২জন করে শিক্ষক কর্মরত থাকায় ওই সব বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীকে ২জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়সমুহে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে দায়িত্ব পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে দাপ্তরিক কাজ ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ভারপ্রাপ্তরা। শিক্ষক শূণ্য থাকা বিদ্যালয়সমুহে পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, কারণ তাদেরকে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হচ্ছে। আবার যেসব বিদ্যালয়ে মাত্র ২জন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন সেসব বিদ্যালয়ে ১জনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ওইসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক শূণ্যতার কারণে অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ ও শ্রেনীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষকরা চাইলেও পাঠদানে মনোযোগী হতে পারেননা। ক্লাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী কিছুই শিখতে পারছেনা। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার গতি ফিরিয়ে আনতে অনতিবিলম্বে শূণ্যপদসমুহ পূরণের দাবি জানান অভিভাবকরা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় শ্রেনীতে পাঠদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদেরকে বাড়তি ক্লাস নিতে হচ্ছে। আবার প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে থাকলে তার ক্লাসটিও নিতে হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার মো. আনিছুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াা শুরু হবার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের পদায়নের ব্যাপারে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি খুব শিগ্রই শিক্ষক সংকট কেটে যাবে এবং সকল সমস্যার সমাধান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451