রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে অন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে করা ৬৩৮ রান থেকে এখনো অনেকটা দূরে বাংলাদেশ। তবে প্রতিকূল কন্ডিশন ও অচেনা মাঠে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম যেটা করলেন, সেটা মহাকাব্যের চেয়ে কম কিসে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪২ রান করেছে বাংলাদেশ। মাঠে থাকা সাব্বির অপরাজিত রয়েছেন ১০ রানে।

এর আগে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৫৯ রান যোগ করে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ১৫৯ রান করে আউট হন মুশফিক। আর দলীয় ৫৩৭ রানে ওয়াগনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সাকিব করেন ক্যারিয়ার-সেরা ২১৭ রান।

৯০তম ওভারে ওয়াগনারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক পূর্ণ করেন সাকিব। মুশফিক তখন ৮৮ রানে ব্যাট করছেন। ৯৭তম ওভারে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকও। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডে করা তামিম-জুনায়েদের ১৬১ রানের রেকর্ডটাও ভেঙে দেয় এ জুটি।

২৬ মাস পর সাকিবকে দেখা গেল স্বরূপে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে খুলনায় সর্বশেষ শতক করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ১৫০ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে শতকে পৌঁছান তিনি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ৭১ রানে পৌঁছার মধ্য দিয়ে তামিম ইকবাল ও হাবিবুল বাশারের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রানের মাইলফলক পার করেন সাকিব। এরপর বাশারকে (৩,০২৬) ছাড়িয়ে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান টাইগার ব্যাটসম্যান।

ব্যাট হাতে তিন হাজার রান ও বল হাতে ১৫০ উইকেট নেওয়া ১৪তম অলরাউন্ডার সাকিব। এই এলিট ক্লাবে রয়েছেন গ্যারি সোবার্স, ইমরান খান, কপিল দেব, ইয়াম বোথামদের মতো তারকা অলরাউন্ডাররা।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি সাকিবের টানা দ্বিতীয় শতক। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরি করেন এই অলরাউন্ডার।

ম্যাচে দেড়শ রান করে নিজের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ভেঙে দেন সাকিব। পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ১৪৪ রান এত দিন ধরে সাকিবের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।

সাকিবের খানিক বাদে দেড়শ করেন মুশফিকও। তবে এর পর কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সাকিব। ১২৫তম ওভারে কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। মুশফিক তখন ১৫৮ রানে অপরাজিত।

জুটির রান যখন ৩৫৯, ঠিক সে সময় ধৈর্য হারিয়ে বসেন মুশফিক। বোল্টের বলে ওয়াটলিংকে ক্যাট দেন মুশি। ১২৮তম ওভারে তামিমকে সরিয়ে দেশসেরা স্কোরের মালিক বনে যান সাকিব।

দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে ওয়াগনারের বলে বোল্ড হন সাকিব। দিনের শেষ ওভারে ওয়াগনারের তৃতীয় শিকার হন মেহেদি হাসান মিরাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451