শরিফুল ইসলাম নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
গ্রামের প্রভাবশালীদের হুমকিতে প্রায় এক একর জমিসহ বাড়ি ছেড়ে
পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার। প্রভাবশালীরা জোরকরে বাড়ি-
জমি লিখে নিতে চায়। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপির
কুমারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।
অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নের
কুমারডাঙ্গা গ্রামে মৃত অনন্ত পালের ছেলে আশুতোস পাল ও তার ভাই পংকজ
পাল মায়ের সাথে প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ওপর থাকা বাড়িতে বসবাস করেন।
তাদের মোট জমির পরিমাণ প্রায় এক একর। কিন্তু বাড়ি ও জমির ওপর নজর
পড়েছে এলাকার কয়েকজন অর্থলোভীর। আশুতোস পাল অভিযোগ করেন,একই
গ্রামের মৃত আব্দুল হক শেখের ছেলে শাহাবুল শেখ, সেকেন্দার শেখের ছেলে
মওদুদ শেখ, মৃত আব্দুল হক শেখের ছেলে আবু শেখ সহ রাজিব ফকির,
সোহেল ফকির, মাসুম শেখ, লুথু শেখ, টুলু, মিলটন ভুঁইয়া, ইছাখালি
গ্রামের খাজা মোল্যা এবং আরো কয়েকজনে মিলে জোর করে আশুতোস
পাল ও তার ভাই পংকজ পালের বাড়িসহ এক একর জমি লিখে নিতে হুমকি-
ধামকি দিচ্ছে।
গতবছর ২১ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে উল্লেখিতরা অস্ত্রশস্ত্রে
সজ্জিত হয়ে আশুতোস পালের বাড়িতে চড়াও হয়ে জমি লিখে দিতে চাপ
প্রয়োগ করে। এমনকি উল্টেলখিতরা আগেই জোর করে জমি লিখে নেবার
প্রস্তুতি হিসাবে লোহাগড়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিস থেকে আশুতোসের
নামে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কিনে নিয়ে যায়। প্রভাবশালীদের
হুমকিতে বাড়িঘর ফেলে ২১ ডিসেম্বর বেলা ১টার দিকে আশুতোস পাল
বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। আশুতোস পাল জানান, গ্রামে গেলে
সন্ত্রাসীরা জোর করে জমি লিখে নিয়ে আমাকে হত্যা করতে পারে। তাই
পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অবস্থা খারাপ দেখে পংকজ পাল দুই মাস আগেই ভারতে
চলে গেছেন। গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে সাংবাদিকরা
আশুতোসের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরে তালামারা। বাড়ির লোক কেউই
নেই। বাড়ির পার্শ্ববর্তী সুধা রাণী পাল(৯৫) জানান, ১৫/২০দিন আগে
আশুতোস পাল বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে। অভিযুক্তদের পাওয়া না
গেলেও অভিযুক্ত রাজিব ফকিরের পিতা বাবলু ফকির ঘটনা অস্বীকার
করেছেন। ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান টগর ঘটনার সত্যতা
স্বীকার করে বলেন,এ অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না। লোহাগড়া থানার ওর্সি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে কঠোর ব্যবস্থা
নেবো।