সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

মহেশপুরে কালের স্বাক্ষী টিয়া পাখি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

 

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল,মহেশপুর থেকে:

একসময় উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে নারকেল গাছে টিয়া

পাখিতে ভরপুর ছিল। নিশি হলে অনেকে নারকেল গাছে উঠে ধরত টিয়া

পাখি এবং খাচায় রেখে তা পুষতো। সঠিক ট্রেনিংপ্রাপ্ত গৃহস্থের

দ্বারা এই পাখি অনেক বুলি শিখতো। বর্তমানে উপজেলার ১২ টি

ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সর্বত্র কালের স্বাক্ষী টিয়া পাখি বিলুপ্তির

পথে।

কিচির মিচির শব্দে ভোর হতেই ঘুম ভেঙ্গে যেত এলাকার মানুষের।

কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় কৃষকরা পাখিদের গুঞ্জরনে ঘুম ভাঙ্গার সাথে

সাথেই হাল গরু নিয়ে ছুটতো ক্ষেত খামারে।

দোয়েল, সারস, চড়–ই, টিয়া, শালিক, টুনটুনি, বাবুই সহ নানা রকম

পাখির সমাগমে মুখরিত থাকত এসব এলাকার বিস্তীর্ন অঞ্চল। এর মধ্যে

টিয়া পাখি উল্লেখযোগ্য । কালের স্বাক্ষী টিয়া পাখি আজ আর তেমন

চোখে পড়ে না। আমাদের চেনা জানা পাখিগুলোর মধ্যে টিয়া পাখি আজ

আমরা হারাতে বসেছি। ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষক্ষেত্রে

টিয়া পাখি একধরনের কৃষকদের প্রিয় বন্ধু ও খুবই উপকারী হিসেবে

স্বীকৃত।

ফসলের পোকামাকড় দমন করতে টিয়া পাখি বিশেষ ভুমিকা পালন করত।

আধুনিক যুগে ফসলের পোকামাকড় দমনে কীটনাশকসহ নানান ধরনের

ঔষধ স্প্রে করছে ফলে পোকামাকড় না থাকায় কোনো টিয়া পাখি

পরিলক্ষিত হয় না। সেই সাথে টিয়া পাখি আজ বিলুপ্তির পথে।

কৃষকবন্ধু এই পাখিটি বিলুপ্তির হাত থেকে বাচানোর জন্য হাতে হাত

রেখে একতা হওয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451