শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

জয়ে আ. লীগ, পরাজয়েও আ. লীগ : জেলা পরিষদ নির্বাচনে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

সারা দেশে ৬১ জেলায় জেলা পরিষদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ্যে আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে কিছুটা বিরতি দিয়ে গণনা করা হয়। এরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি বাদে ৬১ জেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি ছিল মাত্র। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী। এ ছাড়া কুষ্টিয়া ও বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত করা হয়। সাধারণ সদস্যপদে ১৩৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্যপদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ ৩৮ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২৫টি জেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচিতদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই। বাকি ১৩টি জেলায় জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা, যারা আওয়ামী লীগ-সমর্থিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। মাত্র দু-তিনটি জেলায় নির্দলীয়  বা অন্য দলের প্রার্থী জয়ী বা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছেন। অর্থাৎ ৫৯টি জেলা পরিষদের মধ্যে বিজয়ী বা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারাই। প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন যাঁরা

নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইয়াশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ বদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দীন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বী, ঝালকাঠীতে সরদার মো. শাহ আলম, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।

আজ আ. লীগ-সমর্থিত হিসেবে চেয়ারম্যান হয়েছেন যাঁরা

কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, চাঁদপুরে আলহাজ ওসমান গনি পাটোয়ারী, বরিশালে মো. মইদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরে সামছুল ইসলাম, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, মানিকগঞ্জে অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, লালমনিরহাটে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, মৌলভীবাজারে মো. আজিজুর রহমান, বরগুনায় মো. দেলোয়ার হোসেন, গোপালগঞ্জে চৌধুরী এমদাদুল হক, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মইনুদ্দীন মণ্ডল, নরসিংদীতে মো. আসাদোজ্জামান, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, কুমিল্লায় রিয়ার এডমিরাল (অব.) আবু তাহের, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, কক্সবাজারে মোশতাক আহমেদ চৌধুরী, নোয়াখালীতে ডা. এ বি এম জাফর উল্লাহ, রাজবাড়ীতে ফকির আব্দুল জব্বার, পটুয়াখালীতে আলহাজ খান মোশারফ হোসেন, সিলেটে লুৎফর রহমান, রংপুরে অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম এবং মাদারীপুরে মিয়াজ উদ্দিন খান।

আজ আ. লীগের বিদ্রোহী হিসেবে যাঁরা জয়ী হয়েছেন

সাতক্ষীরায় মো. নজরুল ইসলাম, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, শেরপুরে হুমায়ুন কবীর রুমান, নড়াইলে অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস,মেহেরপুরে গোলাম রসুল,পঞ্চগড়ে আমানুল্লাহ বাচ্চু, চুয়াডাঙ্গায় শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. শফিকুল আলম, সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট, জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী।

এ ছাড়া নীলফামারীতে মো. জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধার মো. আতাউর রহমান আতা এবং রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান হয়েছেন।

২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। তাঁদের মেয়াদপূর্তিতে এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার ছিলো ইউনিয়ন পরিষদে। দেশের প্রায় চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।

একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার।

৩২০টি পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় ৫৫০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন, যাঁরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

এ দিকে আদালতের নির্দেশে নোয়াখালীতে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সব ধরনের পদে এবং ২, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যশোরে ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে এবং সংরক্ষিত ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ স্থগিত আছে। আর মাগুরায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সব ধরনের পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।  বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে ও গাইবান্ধায় ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451