সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মসুলে ইরাকি বাহিনী, আইএসের যবনিকাপাত!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

 

ইনডিপেনডেন্ট ,

গত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্ত ঘাঁটি মসুলে প্রবেশ করেছে ইরাকি সেনাবাহিনী। আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর দখলমুক্ত ও আইএসের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটবে।

সামরিক দিক থেকে ইরাকি বাহিনীর কাছে মসুলে এই লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানেই স্বঘোষিত খলিফা ও আইএস-প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি লুকিয়ে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একজন জ্যেষ্ঠ কুর্দি কর্মকর্তা ইনডিপেনডেন্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির চিফ অব স্টাফ ফুয়াদ হুসাইন এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর সরকার একাধিক উৎস থেকে তথ্য পেয়েছে যে, ‘বাগদাদি এখানে লুকিয়ে আছে এবং যদি তিনি নিহত হন তাহলে এর অর্থ হলো পুরো আইসিস ব্যবস্থার ভেঙে পড়বে’। আইএসকে যুদ্ধের মাঝখানে একজন নতুন খলিফা নির্বাচন করতে হতে পারে। কিন্তু কোনো উত্তরসূরিরই বাগদাদির মতো কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তি নেই।

২০১৪ সালের জুন মাসে মসুল দখলের পর খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাগদাদি সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

ফুয়াদ হুসেইনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাগদাদি গত আট-নয় মাস ধরে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। স্বঘোষিত এই খলিফা মসুল ও তাল আফার থেকে আইএসের কমান্ডারদের ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। তাল আফার মসুলের পশ্চিমে অবস্থিত একটি শহর।

২০১৪ সালের গ্রীষ্মে প্রাথমিক অভিযানের সময় আইএসের জ্যেষ্ঠ নেতা বিশেষ করে সিরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ইরাকের উত্তরাঞ্চল এবং সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয় আইএস।

‘বাগদাদির উপস্থিতিতে’ মসুলের এই যুদ্ধ দুর্বোধ্য এবং দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাঁর জীবিত অনুগামীরা প্রাণপণে চেষ্টা করবেন তাঁকে রক্ষা করার জন্য।

কুর্দি প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ বলেন, ‘অবশ্যই, তারা পরাজিত হবে। কিন্তু কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। কুর্দি পেশমের্গা বাহিনী বিপুলসংখ্যক সুড়ঙ্গ দেখে অনেকটা হতবাক হয়েছে। মসুলের চারিদিকে গ্রামগুলোতে গোপন আস্তানার জন্যই তাঁরা এই সুড়ঙ্গগুলো তৈরি করেছিল।’

ইরাকের বিশেষ বাহিনী গত মঙ্গলবার মসুলের টাইগ্রিস নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দখল নেয়। মসুলের জনসংখ্যা ২০ লাখ।

ফুয়াদ বলেন, ‘মসুল পতন অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে, বিশেষ করে আইএস নদীর ওপর পাঁচটি সেতু ধ্বংস করতে যাচ্ছে।’

মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার মাধ্যমে ইরাকি সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো মসুলের পূর্বে নীনবীর সমতল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। খালি শহর ও গ্রামগুলোকে দখলে নেওয়া হয়েছে। এই শহর ও গ্রামগুলো থেকে অধিবাসীরা পালিয়ে গেছে। বারটেলা ও কারাকোস শহরে খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা নিজেদের বাড়িতে আবার ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের সবকিছু লুট করে নেওয়া হয়েছে। আইএস যোদ্ধারা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।

ইরাকের বিশেষ বাহিনীর মেজর জেনারেল সামি আল-আরিদি বলেন, ইরাকি সৈন্যরা মসুল শহরের গগজালি জেলায় প্রবেশ করে এবং পরে কারামা জেলার সীমানা ঢুকে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451