মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নায়ক সালমান শাহর আত্মহত্যার পেছনে ‘৫ কারণ’ পেয়েছে পিবিআই

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের চলচ্চিত্রে একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে এ মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানিয়েছে, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি। নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে সালমান আত্মহত্যা করেছিলেন

রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পিবিআইয়ের তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে আজ ওই তদন্তের বিষয়ে জানানো হয়। সেখানে নায়ক সালমানের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হয়।

প্রথম কারণ, সালমান শাহ ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।

দ্বিতীয়, স্ত্রী সামিয়ার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ।

তৃতীয় কারণ হলো, মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা।

পিবিআইয়ের উল্লেখ করা চতুর্থ কারণটি হলো মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া।

নায়ক সালমানের আত্মহত্যার পঞ্চম কারণ হিসেবে পিবিআই উল্লেখ করেছে, সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। প্রায় ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ-৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্তের বিষয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘২০১৬ সালে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জবানবন্দি গ্রহণ করতে বেশি সময় লেগেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451