শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নূর হোসেনকে নিয়ে মন্তব্য ‘স্লিপ অব টাং’, রাঙ্গা ক্ষমা চাইলেন 

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৯২ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক শহীদ নূর হোসেনকে জড়িয়ে বিতর্কিত বক্ত‌ব‌্যের জন‌্য দুঃখ প্রকাশ করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে রাঙ্গা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গণতন্ত্র দিবসের আলোচনায় আমি নূর হোসেনকে ইয়াবাখোর ও ফেনসিডিলখোর বলেছিলাম। এটা আসলে আমার স্লিপ অব টাং।’

‘ওই সময় ইয়াবা ছিল না, ফেনসিডিলও ছিল না। শব্দ দুটি আমার বলা ঠিক হয়নি। এ দুটি শব্দ আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, ক্ষমা চাইছি।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরো বলেন, ‘আজ দুপুরে বনানীর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করব। সংবাদ সম্মেলনের পর এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলব না।’

সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বিরোধী দলগুলোর হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন পরিবহন শ্রমিক নূর হোসেন। তখন তাঁর বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক—গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। নূর হোসেন তখন থেকেই সারা দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ‘পোস্টার’ হয়ে ওঠেন। রাজধানীর গুলিস্তানের যে স্থানটিতে তিনি নিহত হন, সেটি ‘শহীদ নূর হোসেন চত্বর’ নামেই পরিচিত।

প্রতিবছর ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শহীদ নূর হোসেনের প্রতি এখানেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটি স্মরণ করে। অনেকে আলোচনা সভারও আয়োজন করে।

যদিও এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি নূর হোসেনকে হত্যার দিনটিকে ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। এবার সেই দিনটিতে এক আলোচনা সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘মাদকাসক্ত’ নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কাকে হত্যা করলেন। নূর হোসেনকে? নূর হোসেন কে? একটা অ্যাডিকটেড ছেলে। একটা ইয়াবাখোর, ফেনসিডিলখোর।’

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুল সমালোচনা শুরু হয়। গতকাল সোমবার রাঙ্গাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শহীদ নূর হোসেনের মা মরিয়ম বিবিও। রাঙ্গা বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন সেই সময়ের ছাত্রনেতারাও। যদিও কালের পরিক্রমায় নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম দল আওয়ামী লীগ এখন জাতীয় পার্টির মিত্র। দুটি দলই মহাজোটের শরিক।

গত দশম জাতীয় সংসদে সামরিক শাসক এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মন্ত্রিসভায়ও ছিল, পাশাপাশি বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি আর সরকারে স্থান পায়নি, তাদের বিরোধী দলেই বসতে হয়েছে। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451