মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসি যথেষ্ট সজাগ’

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ঃ

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কমিশন (ইসি) যথেষ্ট সজাগ আছে। পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে। কোন অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেরকম নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সারা দেশে এতবড় নির্বাচনী কর্মযজ্ঞের মধ্যে আনুপাতিক হারে চিন্তা করলে যেসব ঘটনা ঘটছে এগুলো এক শতাংশ বা দুই শতাংশ। আমরা এগুলো অস্বীকার করবো না। তবে, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কমিশন যথেষ্ট সজাগ আছে। পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে। কোন অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেরকম নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে ড. কামাল হোসেনের উপর হামলার বিষয়ে আমর (নির্বাচন কমিশন) এখনো অবহিত হইনি। আমরা এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি এবং সেরকমভাবে অবহিতও হইনি।’

ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী। ২ হাজার ৫৩৬ জন বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাতীয় নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ৬৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, ১২২টি তদন্ত কমিটির সদস্য ২৪৪জন যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজও মাঠে আছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের সময় চারদিন ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।এছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনীর সাথে হাজারখানেকের মত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন। এরা সকলেই মূলত বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।’ আলাদা কোন বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।

ইসি সচিব বলেন, ‘যেসব প্রার্থীরা কমিশনে অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটি অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করছি আমলে নিচ্ছি। রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে এসব অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। বেশ কয়েকটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আদৌ সত্য নয় এরকম কয়েকটি প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে। কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে কমিশন। সেরকম তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি না করতে ও পরোয়ারা ছাড়া গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় কমিশন কড়া ভাষায় নির্দেশনাও দিয়েছে। পেন্ডিং ওয়ারেন্ট এবং আদালতের তাগিদ থাকলে স্বাভাবিকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে। অনেক দিন এলাকায় না থাকায় পুলিশ হয়তো তাদের খুঁজে পায়নি। নির্বাচন প্রচারণার সময় প্রকাশ্যে আসায় গ্রেপ্তারের সুযোগ পাওয়ায় পুলিশ এসব জায়গায় আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে।’

সচিব আরো বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সাত দিন আগে সকল সংসদীয় আসনে ব্যালট পেপার পাঠাতে সক্ষম হবে নির্বাচন কমিশন। এখনো বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থিতা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অপেক্ষমাণ থাকায় সেসব আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলোর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ চলছে। তবে, ৩০ ডিসেম্বরের আগেই সব জেলার রিটার্নিং অফিসারদের কাছে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘গত মাস ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে কমিশন।এরই মধ্যে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। এখন শুধু বাকি আছে, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আটটি বিভাগে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা নিয়ে আগামী ১৮ই ডিসেম্বর রাঙামাটিতে একটি সমন্বয় সভা করবে কমিশন। ওইদিন বিকেলে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্য বিভাগগুলোতেও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা করবেন নির্বাচন কমিশনাররা।’

ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য আলাদা নীতিমালা আছে। তবে, সাংবাদিকদের জন্য লিখিত কোন নীতিমালা নেই। আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা সাংবাদিকদের জন্য একটি নীতিমালা প্রনয়ণে তাগিদ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের জন্য আলাদা একটি গাইডলাইনে তৈরির চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। কমিশনাররা বলেছেন, সাংবাদিকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন ও ভোটারদের প্রতিক্রিয়াও নিতে পারবেন। তবে কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার না করার বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষণ আছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও ইসি সচিব জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451