হেলাল শেখ :
দুনিয়াতে আমরা বেশিরভাগ মানুষ জন্মেছি সাধারণ পরিবারে, জন্ম থেকে কেউ কোনদিন
কোন কাজকর্ম শিখে আসেনি। যেমন ঃ লেখক, সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবি, রাজনৈতিক
নেতা ও বিচারকসহ কেউ আমরা মায়ের গর্ভ থেকে শিখে আসেনি, তবে জীবনের কঠিন
বাস্তবতায় আজ আমি মৃত্যুর মুখোমুখি সময় দাঁড়িয়ে আছি….
বিশেষ করে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৮টি বিভাগ রয়েছে। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় সরেজমিনে
গিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ এলাকার মানুষ শান্তি প্রিয়। ভোটার ৯০% মানুষ কোনো না
কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। আমাদের দেশের অনেক পাগলও ভোটার, তাহলে বুঝতে বাকি
নেই কিছু পাগলও রাজনীতি করে। কয়েক বছর আগেও মোবাইল ফোন ছিলো না, ফেসবুক
মাধ্যমও আসলো কিছুদিন ধরে। আর হাতের কাছে কম দামে মোবাইল পেয়ে যে কেউ হচ্ছেন
লেখক! এখন এই ফেসবুক ব্যবহার করে ভালো মানুষগুলো অনেকেই খারাপ পথে যাচ্ছে। যার যা মনে
হয় সে তাই লিখে পোষ্ট করে থাকেন-তা সত্য মিথ্যা বা অপরাধমূলক বিষয় কি না? কেউ ভাবেন
না কেউ, এমন কি লেখাগুলো কারো পছন্দ হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর নেই? লেখকও কোনো অভাব
নেই।
বিশেষ করে সাংবাদিক-দু’কলম লিখেই কেউ সাংবাদিক, আবার কেউ সংবাদ (নিউজ) চুরি করে
প্রকাশ করছেন, এরাও সাংবাদিক! থানায় গিয়ে দালালি করছেন এরাও ২ হাজার টাকার বিনিময়ে
একটি পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) নিয়ে সংবাদ (নিউজ) না লিখেও প্রকাশ না করেও তারা
সাংবাদিক। অনেকেই আমরা বলে থাকি যে, সাংবাদিকরা দালালি ছাড়–ন আর দালালরা
সাংবাদিকতা ছাড়–ন। কিছু ভুয়া ও অপসাংবাদিকতার কারণে মহৎ পেশা সাংবাদিকতাকে
অসম্মান করা হচ্ছে। এরা কি জাতির বিবেক হতে পারে? সমাজে কিছু খারাপ মানুষের কারণে
প্রকৃত ভালো মানুষগুলো হয়রানির শিকার হয়।
বাংলাদেশ পুলিশে প্রায় ২ লাখ সদস্য, সব পুলিশ সদস্য খারাপ নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
মধ্যে র্যাব ও ডিবি বিশেষ কাজ করছেন তারা। কিছু পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ বা চাঁদাবাজির
অভিযোগ থাকলেও তারা নিজেরাই তদন্ত করায় অপরাধ করেও অনেক সময় মুক্তি পায় অনেকেই। আর
আইনজীবিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও আদালতে গিয়ে মামলা হলেও গ্রেফতার
হন না বেশিরভাগ উকিল। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা অপরাধ করলেও দল থেকে
বহিস্কার করা হয়, আবার দলে নিয়ে বড় পদ দিয়ে নেতা বানানো হয় অনেকের। তবে সব
রাজনৈতিক নেতা খারাপ নয়। আর প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলের নেত্রী খারাপ হতেই পারেন না।
কিছু নেতার কারণে দলের প্রধান নেতার বদনাম হয়।
বিশেষ করে বিচারকদেরকে কেউ দোষ দেয়া ঠিক নয়, যে কোনো বিচারক কর্তৃক যে কোনো
বিচার করতে গেলে একজনের পক্ষেতো রায় দিতেই হয় তাই নয় কি? আমরা যে সেক্টরেই যাই না
কেন অনিয়ম দেখতে পাই কিন্তু অপরাধের মধ্যে পড়ে কি না অনিয়ম? সবকিছু মিলিয়ে
বর্তমানে টেলিভিশন বা সংবাদপত্রে যা প্রকাশ হয় না তবে ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে সবকিছুই ছোট্র বড় বেশিরভাগ ঘটনা প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মিথ্যাচার ও
প্রতারণা বেশি হলেও এই মাধ্যমটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশে বিদেশে অনেক স্থানেই
গিয়েছি তবে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, এ বাক্যটি আমি আমার
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বলবো। প্রিয় পাঠকগণ আমার এ লেখাটি কারো বিরুদ্ধে নয়,
আমার এই লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অনুরোধ রইলো লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন
না। এ বিষয়ে আপনাদের মন্তব্য ও মতামত কি ?