নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে অসদচারণ এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ডাক্তার এইচ এম তাইফুরুল হাসান এবং তার স্ত্রী দু’জনই ওই হাসপাতালটির পরিচালক।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় শহরের সলিমুল্লাহ সড়কের পাশে মিশনপাড়া মোড়ে অবস্থিত আধুনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার রোগীর অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে মারধরের এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরা হয়।
তবে ওই ডাক্তার ও তার স্ত্রীর দাবি, ‘তুচ্ছ ঘটনায় ভুল বোঝাবুঝিতে’ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ডাক্তার তাইফুরুল হাসান, তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার স্মৃতি এবং হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করেছে।
মারধরের শিকার হওয়া রোগী রিয়া আক্তার জানান, সোমবার রাতে তিনি গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে তাইফুরুল হাসানের স্ত্রী নাসিমা আক্তার তার কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন।
রিয়া আরও জানান, ‘অতিরিক্ত টাকায় আমি চিকিৎসা নিতে না চাইলে, তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় লোকজন নিয়ে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। পরে ডাক্তার হাসান এসে আমার গলা চেপে ধরেন। পরে আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
তবে ডাক্তার এইচ এম তাইফুরুল হাসানের দাবি, ‘রিয়া চিকিৎসা নিতে আসার পর একটু ভুল বুঝাবুঝিতে আমার স্ত্রীর সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। তবে আমি মারধর করেছি, এটা ভুল।’
ওই ডাক্তারের স্ত্রী নাসিমা আক্তার স্মৃতির দাবি, ‘আমি হাসপাতালে বসেছিলাম। হঠাৎ রিয়া আক্তার এসে আমার স্বামী এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে শুরু করেন। আমি তাকে থামাতে গিয়েছি মাত্র। আমি এবং আমার স্টাফরা তাকে থামাতে গিয়েছি এতেই সামান্য হাতাহাতি হয়।’
জানা গেছে, ওই ঘটনার পর আশেপাশের লোকজন হৈচৈ শুনে হাসপাতালে প্রবেশ করে রিয়াকে উদ্ধার করে এবং ডাক্তার ও তার স্ত্রীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন জানান, ‘চারজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে বিস্তারিত কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’