চট্টগ্রামে নেই পূর্ণাঙ্গ বাস টার্মিনাল,দুর্ভোগে নগরীর জনগণ
বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
-
আপডেট সময়
বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬
-
১৯৩
বার পড়া হয়েছে
বাংলার প্রতিদিন ঃ
বন্দর ও বাণিজ্যিক নগরী হলেও চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোনো পূর্ণাঙ্গ বাস টার্মিনাল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের ৬৪টি রুটে যাতায়াতকারী দু’লাখ যাত্রীকে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতে ওঠানামা করানো হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজটের। এ অবস্থায় নতুন বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ নিয়ে সিটি কর্পোরেশন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং পরিবহন মালিক -কেউই একমত হতে পারছেনা।
চট্টগ্রাম নগরীর লোকসংখ্যা ৬০ লাখ হলেও ৪০ লাখের বেশি অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দু’ লাখ মানুষ চট্টগ্রামে আসা-যাওয়া করছে। কিন্তু এসব যাত্রীদের জন্য এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো বাস টার্মিনাল গড়ে ওঠেনি। বি আর টি সি, দামপাড়া গরীব উল্লাহ শাহ মাজার, পাহাড়তলী অলংকার মোড়, এ কে খান এবং কর্ণেল হাট এলাকার কাউন্টার থেকেই ছেড়ে যায় রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলের সবগুলো গাড়ি। টার্মিনাল না থাকায় রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেই যাত্রী ওঠা-নামা করানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদুল হাসান বলেন, ‘সবাই রাস্তার ওপরেই গাড়ি দাঁড় করায়। যাওয়া-আসার সময় দেখবেন ব্রিজের দুই পাশে জ্যাম। টার্মিনাল অবশ্যই দরকার।’
বাংলাদেশ পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট টার্মিনাল থাকতো এবং সারা উত্তরগামী সমস্ত বাসের জায়গা দেওয়া হতো তাহলে যাত্রীরাও যেমন নিরাপদ হতো আমাদের গাড়ি চলাচলও আরো নির্বিঘ্ন করা যেতো।’
এই অবস্থায় যোগাযোগের সুবিধার্থে সাগরিকা গরু বাজারকে বাস টার্মিনালে রূপান্তরের জন্য সিটি মেয়রকে প্রস্তাব দিয়েছে পরিবহন মালিকেরা। কিন্তু তা নিয়ে রয়েছে জটিলতা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘শহরের ভেতরে আমদের এটা করা সম্ভব নয়। শহরের বাইরে আমরা হালি শহরের দিকে যেতে চাচ্ছি। ওখানে আমাদের কিছু জায়গা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা নিতে চাচ্ছি।’
অবশ্য শহর থেকে দূরে হওয়ায় সব পক্ষের বিরোধিতা স্বত্বেও সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘একবার যদি করে ফেলেন তাহলে এটা আর উচ্ছেদ করা যাবে না। সুতরাং যা করতে হবে চিন্তাভাবনা করে করতে হবে। আন্তঃজেলা এবং উত্তরাঞ্চল বাস টার্মিনালের জন্য দুটো প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শুধু অনুমোদন পেলেই আমরা কাজটা শুরু করতে পারি।’
রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাশাপাশি উত্তর চট্টগ্রাম এবং বান্দরবন ও কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য কোনো টার্মিনাল নেই এ নগরীতে।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর