রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মুন্সিগঞ্জে  শিক্ষার পরিবর্তে কিন্ডার গার্টেন ব্যবসা জমজমাট

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

রুবেল মাদবদ:
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্টেন। এই কিন্ডারগার্টেন ব্যবসা এখন জমজমাটভাবে করে যাচ্ছেন কিছু সমাজের ব্যবসায়ীরা। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এসকল কিন্ডার গার্টেন ব্যবসায় মেতে উঠেছেন। নামে মাত্র একটি বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে নাম সর্বস্ব বেতন দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেন। অপরদিকে শিক্ষকদের স্বল্প বেতন দেওয়ার ফলে তারা প্রাইভেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। নিয়োগে শর্ত জুড়ে দেন ৫জন করে ছাত্র ভর্তি করতে হবে। প্রাইভেট, কোচিং এবং সাপ্তাহিক পরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কির্ডার গার্টেন স্কুল ব্যবসা এখন মুন্সিগঞ্জে জমজমাট। নাম সর্বস্ব একটি কিন্ডারগার্টেন দিতে পারলেই লক্ষ লক্ষ টাকা। এ জন্য মুন্সিগঞ্জে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে কিন্ডারগার্টেন।
নিবন্ধন ছাড়া আর চালানো যাবে না কিন্ডারগার্টেন স্কুল। নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এরই মধ্যে তিন স্তরে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। দেশের সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন করে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে এসব টাস্কফোর্স। সেই সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। বিধিমালার শর্ত না মানলে বন্ধ করে দেওয়া হবে কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
‘যত্রতত্র কিন্ডারগার্টেন থাকতে পারবে না। দেখা যায়, একই বাড়িতে বা পাশাপাশি বাড়িতে একাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল। কোনো সুবিধাই তাদের নেই। এভাবে থাকতে পারে না। বিধিমালা অনুযায়ী কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে শর্ত মেনে চলতে হবে। এরই মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপরিশ অনুযায়ীই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত আমরা এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসব।’
জেলা টাস্কফোর্সে সভাপতি থাকবেন জেলা প্রশাসক, সদস্যসচিব হবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সদস্য হবেন পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালক, সমাজসেবা। উপজেলা টাস্কফোর্সে সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্যসচিব হবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সদস্য হবেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসি।
নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অনুমতি, নিবন্ধনসংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীতা নিরূপণ করবে টাস্কফোর্স। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ফি নির্ধারণ ও আদায়, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য পরীক্ষা করবে। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের পাঠদান, সহশিক্ষাক্রম (পাঠক্রমবহির্ভূত কার্যক্রম বোঝাতে), আর্থিক কর্মকান্ড ও শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক অন্তর্ভুক্তি যাচাই করবে। সব টাস্কফোর্স এক মাসের মধ্যে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপরিশ মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠাবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকার ২০১১ সালে নিবন্ধন বিধিমালা জারি করেছিল। আশা করা হয়েছিল, জারি করা বিধিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে। কিন্তু সারা দেশে ওই বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারি উদ্যোগে কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠেছে এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এসব বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি অনুসৃত হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্য তালিকায় বইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন প্রতিরোধকল্পে বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী যাচাই করে করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র যেভাবে কিন্ডার গার্টেন গড়ে উঠছে এটা বন্ধ হওয়া উচিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবর্তে মানুষিক রোগী বানানোর জন্যই এই সকল কিন্ডারগার্টেন খোলা হয়ে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451