এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট
উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউপি’র রাজার বাজারসহ বিভিন্ন বিলাশ বহুল বাড়ির ছাদে ফলের
বাগান করা হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের বসত ঘরের চার পাশে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, দেখা যাচ্ছে
তারাই ছাদে বাগান করতে বেশি আগ্রহী। যদিও এলাকাটি গ্রামাঞ্চল তার পরেও কিছু
কিছু এলাকায় দুই, তিন তলা ভবন দেখা যায়। এলাকায় ধীরে ধীরে একজনের দেখাদেখি অন্যজন
এখন ছাদে বাগান করতে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর বাড়ছে জনসংখ্যা, বাড়ছে
বসতবাড়ি। এ কারণে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। জনসংখ্যা বৃদ্ধিও কারণে জমির চাহিদা
বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জমির দাম। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার
বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই স্বল্প আয়ের মানুষেরা সামান্য পরিমাণ জমি কিনে, সে জায়গায়
নির্মাণ করছেন পাকা ভবন। ভবনের চার পাশে জায়গা না থাকায় ছাদেই তৈরি করছেন সখের
বাগান। উন্নত জাতের ও পুষ্টিগুণ স¤পন্ন ফল বাগান করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা
পূরণ করছেন। চুনারুঘাটের রাজার বাজার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা
জানান, তিনি সখ করে তার বাড়ির ছাদে তৈরি করেছেন ফলের বাগান। ছাদে কাটা ড্রাম
ব্যবহার করে, ড্রামের মধ্যে বাগানের ফল চাষ করা হয়েছে। তাদের ফলের বাগানে রয়েছে উন্নত
জাতের আম, লেবু, ডালিম ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল গাছ। কিছু কিছু গাছে ফল ধরার
সম্ভাবনা রয়েছে, যদি ধরে তা সংগ্রহ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরন করার চেষ্ঠা করবেন।
ছাদেই করা হয়েছে ফুলের বাগান। বাজারের ফলে ফরমালিন ও কারবাইট থাকার আতঙ্কে অনেকেই
ফল খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, বিভিন্ন পরামর্শে গাছে
রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করে ছাদের বাগানে উৎপাদন করা
হচ্ছে টাটকা ফল। অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলেন ছাদে প্রচুর আলো বাতাস থাকায় বাগান করার
জন্য খুবই উপযোগি। উন্নত জাতের ফল বাগান করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ
করা সম্ভব। ছাদে বাগান করলে, ভবনের রুম ঠান্ডা থাকে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে
সাহায্য করে। বাড়ীর ছাদে বাগান করা দেখে চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদ ইউপি’র অনেকেই
এ পদ্ধতিতে বেচে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।