মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আর্শীনের ধানের(আউশ ধান) মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আর্শীনের

ধানের(আউশ ধান) মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ। এবার আউশ

ধানের ফলন ভাল হওয়ায় খুশিতে সেই ধান কাটায় ব্যস্থ সময় পার

করছে এখন তারা। এ জেলার সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ের তলদেশের জমিতে

রোপা আউশ ধানের সোনালী রংঙ্গের ধানের ছড়ায় ছুট ছুট ধানের

টুকরো গুলো জলমল করে হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার চাষিরা

তাদের কষ্টের ফলানো সেই সোনা রংঙ্গেন রোপা আউশ ধানের

টুকরো গুলো স্বযন্তে কেটে গোলায় তুলছে আপন মনে। হাওর

বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাধ আছে মৎস,পাথর ও ধান

সুনামগঞ্জের প্রান। কিন্তু এই প্রান (ধান) প্রতি বছর থাকে

আতœংকের মধ্যে। প্রতি বছর হাওরের বাঁধ নির্মানে অনিয়ম আর

পুকুর চুরির কারনে এবার হাওরবাসীর কষ্টের ফলানো বোরো ধান

গোলায় তুলতে পারে নি জেলার ৮০ভাগ কৃষক। এই জেলায় বোরো

ধানেই একমাত্র সম্পদ আর বেশি ফলায় কৃষকরা। কারন বছরের ৬মাস

বিশাল হাওর পানিতে জলমগ্ন থাকে বাকি ৬মাস এক ফসলী বোরো

চাষাবাদ করেই হাওর বাসী জীবন-জীবিকা পরিচালিত হয়। জেলা

তাহিরপুর,দোয়ারা বাজার,বিশ্বাম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার

সীমান্ত এলাকার দোঁআশ মাটিতে রোপা আউশের চাষ হয় বেশি।

এই সব সীমান্ত এলাকার জমির প্রকৃতি উচুঁ হওয়ায় এই

এলাকার কৃষকগন আউশ ধান চাষ করে থাকে। সুনামগঞ্জ জেলা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়,বোরো

মৌসুমের শেষে রোপা আউশের চাষ করে সীমান্ত এলাকার

কৃষকগন। মে মাসে ধান লাগানোর পর ফলন আসে আগষ্ট-

সেপ্টেম্ভরে। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি,শিলা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক

দূযোর্গের আশংকা থাকে না। ফলে রোপা আউশের ফলন ভাল হয় আর

কৃষকরা চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হন। প্রতি ১কেয়ার (৩০শতাংশে)

১২-১৬মনের অধিক ধান পাওয়া যায়। এ বছর জেলায় ৬হাজার ৬৮৭হেক্টর

রোপা আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত এলাকা

দোয়ারা বাজার উপজেলায় ৩হাজার ২০০শত হেক্টর,সুনামগঞ্জ সদর

উপজেলায় ১হাজার ১০০হেক্টর,বিশ্বাম্ভরপুরে ১হাজার হেক্টর ও

তাহিরপুর সীমান্তে ৩শত হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা

হয়েছে। বোরো ফসল কাটার পর পরেই হাওরের নিচু জমির চেয়ে

উচুঁ জমিতেই আউশ ধান চাষাবাদ করে থাকে কৃষকরা। কৃষকরা

জানান,এখন পাকা আউশ ধান কেটে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলতে

ব্যস্থ সময় পার করছি। এই আউশ ধান কাটার পর এই জমিতেই

আবার তরমুজ,বাঙ্গি ও শীতকালীন সবজি সহ বিভিন্ন চাষাবাদ

শুরু করে দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। কৃষি অফিসের পরামর্শ

পেয়েছি আরো সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে আরো ভাল ফলন

করতে পারব। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম

জানান,এ বছর উপজেলায় ৩শত হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদ

হয়েছে। ফলন ও ভাল হয়েছে। কারন আউশ ধান চাষাবাদে বোরো ফসলের

মত পানিতে বা অন্য কোন প্রকৃতিক দূযোগ্যে ক্ষতির কোন

সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য জায়গায় ধানের ৩-৪বার চাষ হয় কিন্তু

বোরো প্রধান সুনামগঞ্জে আলোক সংবেদনশীল ধানের চাষ কম

করা হয়। আমরা আমাদের সর্বচ্চো চেষ্টা দিয়ে কৃষকদের

প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি সীমান্ত এলাকায় ভাল পরিমানে

আউশ ধানের চাষাবাদ করার স্বার্থে চাষ অযোগ্য জমির চাষাবাদের

আওতায় আনতে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

কামরুজ্জামান কামরুল জানান,তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের

বসবাসকারীরা খুবেই পরিশ্রমি তাই তারা সীমান্তের অনেক

অযোগ্য জমিকে চাষ যোগ্য করে চাষাবাদ করে ভাল লাভবান হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তাগন সীমান্ত এলাকায় কিভাবে চাষাবাদ করে আরো

বেশি আউশ ধান উৎপন্ন করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিলে

কৃষকরা আরো লাভবান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451