মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ক্ষমতায় গেলে হিলারিকে জেলে পাঠানোর হুমকি ট্রাম্পের

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করায় দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে হিলারির কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ই-মেইল কেলেঙ্কারি জন্য হিলারিকে জেলে পাঠাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিবাসন-নীতির সমালোচনা করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বহুত্ববাদকে শ্রদ্ধা করেন না বলে অভিযোগ করেন হিলারি। আইএস বিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার প্রশংসা করেন ট্রাম্প। বিতর্ক শেষে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে- এ বিতর্কেও জয়ী হয়েছেন হিলারি।

বিতর্ক-মঞ্চে প্রবেশের পর প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের মতো এবার আর হাত মেলাননি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন। স্থানীয় সময় রোববার রাত ৯টায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিসি টেলিভিশনের মার্থা রাডাটজ ও সিএনএন- এর অ্যান্ডারসন কুপারের যৌথ সঞ্চালনায় শুরু হয় ৯০ মিনিটের এ বিতর্ক। শুরুতেই দর্শকদের তির্যক প্রশ্নের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের পূর্ব-ধারণা মতো নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি একে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার অংশ বলে উল্লেখ করেন। পাল্টা আক্রমণে ট্রাম্প বলেন- হিলারির স্বামী নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো দেশের রাজনীতিককে ছাড়িয়ে গেছেন। নারীদের প্রতি তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান।

নারীদের নিয়ে কটূক্তি করে ক্ষমা চাইলেও নিহত মুসলিম সেনার পরিবার, মেক্সিকান বংশোদ্ভূত বিচারক কিংবা প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্মস্থান নিয়ে অবান্তর মন্তব্যের জন্য ট্রাম্প ক্ষমা চাননি বলে অভিযোগ করেন হিলারি। জবাবে ই-মেইল কেলেঙ্কারির জন্য হিলারিও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন- তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে হিলারিকে জেলে যেতে হবে। কর-আইনের সুবিধা নিয়েছেন স্বীকার করলেও সরকারের চলমান অনুসন্ধান শেষ হলেই নিজের কর দেয়ার নথিপত্র প্রকাশ করবেন বলে জানান ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বনিম্ন করের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ঘোষিত অভিবাসন নীতি নিয়েও ট্রাম্পকে এক হাত নেন হিলারি। যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে মর্যাদাশীল করতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে হিলারি বলেন- বহুত্ববাদে বিশ্বাসী নন ট্রাম্প।

হিলারি বলেন, ‘পুরো প্রচারণায় মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে চলেছেন ট্রাম্প। এ বিভাজন যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা বাড়াচ্ছে। মুসলিম, হিস্পানিক ও আফ্রো-আমেরিকানদের বের করে দেয়ার কথা বলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে নেয়ার কথা ভাবছেন- এটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়।’

অভিবাসন ও জাতিবিদ্বেষ নিয়ে হিলারির অভিযোগের বিষয়ে ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে বলেন- তিনি অপরাধীদের তাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে চান।
ট্রাম্প বলেন, ‘মুসলিমদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো উচিত। আমরা জানি না- এদেশে যারা প্রবেশ করছে তারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত কি না। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাদের ভাবনা ও মূল্যবোধ আমাদের অজানা। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই মুসলিম উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হতে হবে।’

সিরিয়া সংকট ও আইএস-বিরোধী লড়াই প্রসঙ্গে রাশিয়াকে সমর্থন করে ট্রাম্প বলেন- এ দুই ইস্যুতে ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে মিলে কাজ করলে তা ফলপ্রসূ হতে পারে। বিতর্কে,সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো উঠে আসে।

হিলারিকে ট্রাম্প স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন আর হিলারি ট্রাম্পকে বদমেজাজি বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেও বিতর্ক শেষে অবশ্য একে-অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌজন্য প্রকাশ করেন এ দুই প্রার্থী। বিতর্কে হিলারি ৫৭-৩৪ ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বলে দর্শক জরিপের উল্লেখ করে জানায় সিএনএন। আগামী ১৯ অক্টোবর তাদের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ বিতর্ক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451