বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মুন্সিগঞ্জে সদর উপজেলার মালির পাথর গ্রামটি এখন মাদকের গ্রামে পরিণত হয়েছে।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২৪৪ বার পড়া হয়েছে

রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জে সদর উপজেলার মালির পাথর গ্রামটি এখন মাদকের গ্রামে পরিণত হয়েছে।  স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, মালির পাথর গ্রামের বড় বাড়ির নুর হোসেনের ছেলে শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবৈধ কারেন্টজাল ব্যবসার আড়ালে মাদক ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করে আসছে বলে জানিয়েছে মালিপাথর গ্রামের লোকজন। দেহ ও মাদক ব্যবসা এখন মুক্তারপুর ব্রীজের নীচ ও মালির পাথর এলাকায় সয়লাব হয়ে গেছে। মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই এলাকা।
শাহীনকে পুলিশ প্রতিবার যমুনা ফিশিং নেট কারখানা থেকে আটক করে। শাহীন যমুনা ফিশিং নেট কারখানার আড়ালে মাদকের স্ত্রী কলিকে নিয়ে মাদকের স্বর্গ রাজ্য বানিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। গত- ২৯-০৯-১৬ তারিখে যমুনা ফিশিং নেট কারখানা থেকে ২১ পিছ ইয়াবাসহ শাহিনকে পুলিশ আটক করে। তার অবর্তমানে তার মাদক ব্যবসার অন্যতম সহযোগী হিসাবে কাজ করছেন তার স্ত্রী কলি আক্তার।এমনটাই জানিয়েছেন বড় বাড়ী এলাকার স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মালির পাথর গ্রামের এক যুবক জানান, শাহীন এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। কলি ছিল তার এক সময়ের অবৈধ কাজের সহযোগী। তাছাড়া কলি বেগমকে এলাকায় কল গার্ল মক্ষিরানী হিসাবে সকলে চিনেন। কয়েক বছর আগে এই যমুনা ফিশিং নেট কারখানায় অনৈতিক কর্মকান্ডের সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে বিয়ে দিয়ে দেন। স্বামী- স্ত্রী দুজনই একাধিক পরকিয়া প্রেমে জড়িত আছে বলে জানান গ্রামবাসী।
মালির পাথর এলাকার যুবক হাসান বলেন, কলি তার ঘরে পন্ডিত নামের এক লোকের সাথে একান্ত সময় পার করেন। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরুষের সাথে রাত্রি যাপন করে কলি। এ কারণে কলির শ্বশুড় শ্বশুড়ী তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। কলি এখন মুন্সিগঞ্জে দেওভোগ এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি আরো বলেন, দিনের বেলায় কারখানার আশ পাশ এলাকায় চলে মাদক বিক্রেতাদের সাথে আনাগোনা। রাতে ও সকলে বাসায় গিয়ে কলির কাছে হিসাব বুঝিয়ে দেন। শাহিনও আকলিমা নামের অন্য একটি মেয়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক আছে এবং তার আসমিতা নামের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সরেজমিনে মালির পাথর গ্রামে গিয়ে আরো জানা যায়, গ্রামটির যেখানে যাবেন টাকা দিলে সব ধরনের মাদক সহজে পাওয়া যাবে।
শাহীনের অন্যতম সহযোগী মাদক বিক্রেতারা হল তার স্ত্রী কলি আক্তার, গিয়াসউদ্দিন, নাছির ভান্ডারী, সেলিম এদের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ও নারী ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাদকের ছোবল থেকে এলাকার যুব সমাজকে বাঁচাতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে মাদক বিক্রির ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী কলির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
মুন্সিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, আমরা শাহীনকে আটক করে আইনের আওতায় এনেছি। মাদকের সাথে কোন আপোষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তি যে কেউ হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451