‘স্বামীর দেওয়া’ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের গৃহবধূ হোসনে আরা আক্তার শারমিন।
আজ শুক্রবার রাত ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) শারমিন মারা যান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শারমিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণকীর্তি এলাকার দুলাল হোসেন দুলু ওরফে জুয়েলের স্ত্রী। এ ছাড়া শারমিনের বাবার বাড়িও একই এলাকায়। তাঁর বাবার নাম হোসেন আলী। শারমিনের দিয়া (১১) নামে একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
আজ রাতে হাসপাতালে নিহতের মা মোমেনা খাতুন ও তাঁর ছোট ভাই মাসুদ বলেন, ১৩ বছর আগে জুয়েলের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। শারমিন আগে আনসার সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। বিয়ের তিন-চার বছর পরও তিনি এ কাজ করেন। একপর্যায়ে স্বামীর আপত্তিতে সংসার বাঁচানোর জন্য চাকরিটি ছেড়ে দেন শারমিন।
শারমিনের জমানো কিছু টাকা ছিল। সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে চান স্বামী জুয়েল। কিন্তু শারমিন তাতে রাজি ছিলেন না। এ জন্য তাঁকে প্রায়ই মারধর করা হতো। একপর্যায়ে স্বামীকে ব্যবসার জন্য কিছু টাকা দেন তিনি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর জুয়েল তাঁর স্ত্রী শারমিনের কাছে ব্যবসার জন্য আবার টাকা চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জুয়েল স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন শারমিনের মা ও ছোট ভাই।
তাঁরা জানান, এ ঘটনার পর পরই শারমিনের স্বামী জুয়েল পালিয়ে যান। শারমিনকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত ৮টায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় আগেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছিল।