জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা কে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা
হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে (২৯,০৯,১৬ইং) আজ সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা
পরিষদ থেকে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ মাধ্যমিক
বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের
কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে এক বিশাল র্যালী উপজেলার বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ প্রঙ্গনের মিলিত হয়।
অনুষ্টানে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল
ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে উদ্ভোধকের বক্তব্যে জনপ্রিয়
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন,ছেলে মেয়ে
সবাই সমান একটি বা দুটি নয়,মেয়েরা আমাদের সম্পদ আমাদের
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার মত যোগ্য মেয়ে একটি হলেই
যতেষ্ট। মেয়েদের পরিবারে বুজা নয় সম্পদ মনে করতে হবে। তারা সব
সময় সর্ব ক্ষেতে সঠিক ভাবে পরিবার থেকে যতœ ও সহযোগীতা পেলে
ছেলেদের মত সঠিক যোগ্যতার পরিচয় দিতে পেরেছে বিভিন্ন সরকারী
বেসরকারী-প্রতিষ্টিনে আর ভবিষত্বেও পারবে। আর বর্তমান সরকার
মেয়েদের সর্ব ক্ষেতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তবে কেন
মেয়েদের বয়স না হলে বিয়ে দেবেন অভিবাবকগন। বাল বিবাহ
প্রতিরোধ করতে হলে সবাই কেই ঐক্য বদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে একার
পক্ষে কারো কিছু করা সম্ভব নয় এসব কথা বলেন। পরে বাল্য বিবাহ মুক্ত
ঘোষনার করে সবাই কে বাল্য বিবাহ না করানোর জন্য শপদ বাক্ষ্য পাঠ
করানো হয় এবং শান্তির প্রতিক কবুতর আকাশে মুক্ত করেন। অনুষ্টানে
অন্যানের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,তাহিরপুর উপজেলা
উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় সুযোগ্য চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান
কামরুল বলেন,আমি একা,ইউএনও আর ওসি সাহেব একা একা পাবরে
না। আমি এক না আমরা সবাই মিলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে
কাজ করলে তা সম্ভব। তাই আমাদেও সাথে সাথে প্রতিটি ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান,স্কুল কলেজের শিক্ষক ও কাজীগন এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ন
ভুমিকা পালন করবেন আশা করি। যাতে করে আজ আমাদের খুব প্রিয়
শ্রেষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বাল্য বিবাহ মুক্ত
ঘোষনা করবেন তা আমারা রক্ষা করতে পারি। তাহিরপুর থানার অফিসার্স
ইনচার্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,আমি আইনের লোক আইনের
ভাষায় কথা বলতে হবে। বাল্য বিবাহ যারা করাবেন আর সহযোহীতা
করবেন তাদের বিরোদ্ধে আইন অনুযায়ী ৩মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার
টাকা জরিমান করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাটিফিকেট
দেবার সময় দেখে শুনে বুঝে ও কাজী সাহেবরা বিয়ে পড়ানোর সময় এই
বিষয়ে সজাগ থাকলে বাল্য বিবাহ কেউ দিতে পারব না। বাল্য বিবাহ
মুক্ত করা বাংলাদেশ সরকারের এই সুন্দর একটি উদ্যোগ আমাদের
সবাইকেই ঐক্য বদ্ধ ভাবে পালন করলে তাহিরপুর উপজেলা নয় সারা
বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ মুক্ত করা হবে। বিশেষ অতিথি হিসাবে
অন্যানের মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস
আলম আখঞ্জি,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা বেগম,তাহিরপুর থানার
অফিসার্স ইনচার্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, উপজেলা আ,লীগের
সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী মতুর্জা,সহ সভাপতি নুরুল
আমিন সোহেল,সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,যুগ্ম সাধারন
সম্পাদক শফিকুল ইসলাম,সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান
উদ্দিন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও
উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকগন,৭টি ইউনিয়নের
চেয়ারম্যানগন,উপজেলার
আ,লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,বিএনপি,যুবদল,শ্রমিক দল
নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টিানের শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,এনজিও
সংস্থার কর্মকর্তা,ছাত্রলীগ নেতা আহসানুজ্জামান শোভন,ধীমান
চন্দ্র,ব্যবসায়ী নিউটন রায় সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত
ছিলেন। অনুষ্টানের শেষে তাহিরপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও
কলেজের ছাত্রীরা বাল্য বিবাহের কুফল বিষয়ে নাটক,জারী গান পরিবেশন
করে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়।