নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সকাল ৯০০ টায় দ্বিতীয় তলার প্রতি রুমে
রুমে হামাগুড়ি দিয়ে দু-এক টাকা ভিক্ষার জন্য অকুতি করছে একটি ছেলে।
এভাবেই কাটে এদের জীবন। একটি পর্যায়ে বিষয়টি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক
জনাব মো: আব্দুস সামাদ মহোদয়ের নজর পড়ে। সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী
অফিসার, গাইবান্ধা সদর জনাব মো: আশরাফুল মোমিন খান ও কালেক্ধসঢ়;টরেটের
অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দিলেন ছেলেটির
সার্বিক বিষয় খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য।ছেলেটির সাথে কথা বলে জানা যায় ওর নাম
আলমগীর, পিতা: শফিক মিয়া, বাড়ি: বাদিয়াখালী ইনিয়ন, গাইবান্ধা সদর। বাবা-
মা ঢাকায় কাজ করে। ছেলেটি থাকে তার নানির সাথে। এভাবে যা দু-এক টাকা
পায় তাই দিয়েই বৃদ্ধা নানির সাথে তার দিন চলে।
বিস্তরিত শুনে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেটির জন্য একটি হুইল
চেয়ার ব্যবস্থা করার নিন্দেশ প্রদান করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে হুইল চেয়ার ব্যবস্থা করে
জনগণের জেলা প্রশাসক জনাব মো: আব্দুস সামাদ মহোদয় নিজে হাতে
ছেলেটিকে হুইল চেয়ারে তুলে দেন। ছেলেটির ব্যাপারে আরও খোঁজ-খবর বিশেষ করে
তার চিকিৎসার ব্যাপারে আরও কোনো সহযোগিতার সুযোগ থাকলে সে ব্যাপারে
প্রয়োজনীয় নিন্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জনগণের পাশে দাড়াতে চায় সরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি সাধারণ
জনগণের ধারনা পরিবর্তন করতে জনগণের পাশে থেকে জনসেবা প্রদান করে যাচ্ছে
জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধা।