দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলের জেলা সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়নন পরিষদ নির্বাচনে নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ‘রাজাকারপুত্র’ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক মিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধে।
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে প্রকাশিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকারদের তালিকায় ফারুকের বাবা তাজুল ইসলাম ওরফে তাইজ উদ্দিনের নাম রয়েছে।
সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করে নাসিরনগর উপজেলায় এককভাবে প্রার্থী দেন সায়েদুল হক।
মনোনয়ন দেওয়াসহ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত গুনিয়াউক ও হরিপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের পরাজিত করানোর চেষ্টা, তাদের কর্মী সমর্থকদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করানোর ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বলে জানান মোকতাদির।
“কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে তাকে উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন সদস্যরা। পরে সর্বসম্মতভাবে তা পাশ হয়।”
একই সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণেরও দাবি জানানো হয় সভা থেকে, বলেন মোকতাদির।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি পৌর মেয়র নায়ার কবীর, সহসভাপতি শাহ আলম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সহকারী একান্ত সচিব মিজানুর রহমান বলেন, “স্যার ব্যস্ত আছেন।