ফরিদপুরে জন্ম নেবার পর হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার এবং পরবর্তীতে কবরস্থানে দাফনের সময় কেঁদে ওঠা শিশু গালিবা হায়াতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে একটি হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। গত দুদিন ধরে ফরিদপুরের ড. জাহেদ শিশু মেমোরিয়াল হাসপাতালে সে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৫ মাস ২২ দিনের মাথায় শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দেয়। শিশুটির জন্য যে চিকিৎসা দরকার তা ফরিদপুরে না থাকায় ঢাকায় নেবার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু পরিবারটির পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা ও ঢাকায় নেবার সামর্থ্য না থাকায় এক ব্যক্তি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেবার ব্যবস্থা করেন। যদিও সেই সহৃদয় ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।
এদিকে, চিকিৎসকের অবহেলার কারণ খুঁজে বের করতে ফরিদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক উষা রঞ্জন চক্রবর্তীকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বেসরকারি হাসপাতাল ডা. জাহেদ শিশু মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয় নাহমুল হুদা ও নাজনীন আক্তার দম্পত্তির কন্যা শিশুটি। পরে চিকিৎসকেরা শিশুটিতে মৃত ঘোষণা করে। ভোরে শিশুটিকে দাফন করতে কবরস্থানে নেয়া হয়। দাফনের পূর্বে সে কেঁদে উঠলে দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এ বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুরসহ দেশজুড়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়।