গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারী ডহরের ওপর ঘরবাড়ি নির্মান ও বিভিন্ন স্থাপনা তুলে
অবৈধভাবে ভোগদখল করে জনচলাচল বিঘিœত সহ মূল্যবান গাছপালা কেটে সাবার করার
অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিয়াঘাট-নারায়নপুর সীমান্ত সড়কের কুটিপাড়া চিকুর মোড়
থেকে বাবলাতলা পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার ডহর জুড়ে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মান
করা হয়েছে।
সরেজমিনে প্রতীয়মান হয়, প্রায় তিন মাস পূর্বে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের
আওতায় বিয়াঘাট ইউনিয়নের নারায়নপুর মৌজায় অবস্থিত ওই সড়কটিতে মাটি কাটার
প্রকল্প থাকলেও অবৈধ দখলদাররা মাটি কাটতে বাধা দিলে শ্রমিকরা দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন
করে চলে যায়। সঠিক তদারকির অভাবে ওই সরকারী ডহরের মূল্যবান গাছ বিভিন্ন সময়ে কেটে
ছয়লাভ করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ওই সড়কের অবৈধ দখলদার আনারুল ইসলামের বাড়ির
পাশে রাস্তার মাঝখানে একটি বৃহদাকার বৈদ্যুতিক পোলও রয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে ওই সরকারী ডহরটি
জুরে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা তুলে ভোগদখল করে আছে অনেকেই। সেখানকার বাসিন্দা
আনারুল ইসলাম অবৈধভাবে একটি পশ্চিম দুয়ারী টিনের ছাপড়া ঘর তুলেছে এবং তার শয়নঘরের
কিছুটা অংশও সরকারী ডহরের মধ্যে অবস্থিত। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী মহাসিন শাহ’র ভাষ্যমতে,
সরকারী ডহর সরকার বুঝে নিলে তার কোন আপত্তি নেই।
এদিকে নারায়নপুরের জমি জরিপকারী আমিন মো. ইমারত আলী জানান, নাটোর জেলা প্রশাসন
বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নির্দেশ মোতাবেক
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে অফিসের সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম সেখানে
জরিপ করতে যায়। কিন্তু ইমারত আলীর প্রতিপক্ষের যোগসাজসে তিনি উল্টাপাল্টা জরিপ করে ২৩
ফুট প্রস্থ সড়ককে ৬ ফুট ঘোষণা দিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে অভিযোগকারী ইমারত
আলীকে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেন। অভিযোগকারী পুনরায়
সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে, সঠিক জরিপের মাধ্যমে অবৈধভাবে ডহর দখলকারীদের বাড়িঘর ও
বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারী ডহরটির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করার অনুরোধ
জানান।
ডহরটি দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস লিখিতভাবে এবং মোবাইলে
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বারবার নির্দেশ দিলেও সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলামের
অবহেলা আর গাফিলতির কারণে সেখানে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই
ডহর জরিপ করে এসেছি। তবে সেখানে কারা অবৈধভাবে জবর দখল করছে এটা আমার জানার
বিষয় না।