ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিন
চেচঁরী জমাদ্দার হাট,মধ্য কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, লতাবুনিয়া,
সৈয়দপুর কচুয়া, বিনাপানি, বলতলা, কচুয়া ও শৌলজালিয়াসহ
বিভিন্ন এলাকায় অপ্রত্যাশিত কচুরিপানা ও টেপপানা জাতীয়
জলজ আগাছা বিস্তাার করায় কয়েক‘শ একর জমিতে আমন চাষ
ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ কচুরিপানা অনেক দিন স্থায়ী
হওয়ায় পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আমন বীজতলা। পূর্ণিমা-
আমাবশ্যার জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারি বৃষ্টিপাতসহ
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এমনিতেই কৃষকরা চাষে
পিছিয়ে রয়েছেন। মাঠ ভর্তি কচুরি ও টেপপানা জাতীয়
আগাছা এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত
ভাটিতে কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে কচুরিপানা নিস্কাসনের চেষ্টা করেও
মুক্তি নেই। জোয়ারে কোন কোন খাল ভেসে এসে পূনরায়
কচুরিপানা ওঠে তলিয়ে যা্েধসঢ়;চ্ছ জমি ও আমন বীজ তলা। বীজ ক্ষেত
নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে বীজ সংকট।
বিনাপানি এলাকার কৃষক আঃ মতিন জানান, জমিতে কোন বছর
কচুরি পানা হয়নি। অনেক চেষ্টা করে খালে নামিয়ে দেয়ার পর
আবার ওঠে। অনেক জমি খিল পড়ে আছে। এছাড়া এতে বীজ নষ্ট
হয়ে গেছে। মধ্য কৈখালী গ্রামের বরগা চাষী কুদ্দুস ডাকুয়া
জানায়, যেভাবে মাঠে ট্যাপোনা হয়েছে মনে হয় এটা আল্লাহর
গজব পড়েছে। দুই বিঘা জমি পরিস্কার করে বীজ কিনে চারা
লাগিয়েছি। এখনও বহু জমি খালী আছে। কৃষক বাবুল হাওলাদার
জানায়, অনেক মহাজনের জমি ছেড়ে দিয়েছি কচুরির কারণে।
জানা গেছে, গত আগস্টের ২য় সপ্তাহ থেকে কয়েক দিনের অবিরাম
ভারি বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বৃদ্ধিতে রাস্তা-ঘাট,
খাল-বিল ও জলাসয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নদী থেকে কচুরি ও
টেপপানা জাতীয় আগাছা ওঠে মাঠ ভরে যায়। পানি কমে যাওয়ায়
এরা বিস্তার লাভ করে একরের পর একর ফসলী জমি ছেঁয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে কৃষকদের কোন পরামর্শ বা
সহযোগিতা না করায় ক্ষুব্ধ ভূক্তভোগী কৃষকরা। কাঠালিয়া
উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন
জানান, কচুরিপানা বা আগাছা নিস্কাসনের ব্যাপারে কৃষি
অফিসের মাধ্যমে কিছইু করার নেই। তবে ওষুধ দিয়ে পঁচানো
যায়, তাতে বীজতলা ও রোপা আমনের ক্ষতি হবে।