বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে এবার বোমা হামলা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

উত্তর গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় হিসেবে পরিচিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বিভিন্ন ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুল শতাধিক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। রোববার এই স্কুলটিকেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের আঙিনায় রক্ত লেপ্টে আছে। এ সময় সেখানকার মূল ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

অন্য একটি ক্লিপে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি বলেন, ‘স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে (যেটিতে বাস্তুচ্যুত লোক ছিল) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন।’

গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ৬৬তম দিনে গড়িয়েছে এ যুদ্ধ। এতে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনে অন্তত ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববারও গাজায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটিতে একইসাথে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। এর মধ্যে গত ছয় সপ্তাহ ধরে হামাসকে নির্মূলের জন্য উত্তর গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের এমন অভিযানে প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা টেলিফোনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাড়ে ৫০০ ফিলিস্তিনি।

তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে ফিলিস্তিনে নিগতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এ সময়ে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

এদিকে তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু জানায়, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে একটি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের এক মুখপাত্র বলেন, হামাস যদি আত্মসমর্পণ করে এবং সব বন্দিকে মুক্তি দেয় তবেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।

ওফির গেন্ডেলম্যান নামের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এ মুখপাত্র বলেন, শুধু একটি শর্তে যুদ্ধ শেষ হতে পারে তা হচ্ছে- হামাস নেতাদের আত্মসমর্পণ এবং ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সৈন্যরা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নামের হামাস নেতার বাসা ঘিরে ফেলেছে এবং তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করাই আমাদের লক্ষ্য। গেন্ডেলম্যান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনীয় গুতেরেসের যুদ্ধবিরোধী প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

এর আগে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলা হয়। এই প্রস্তাবের পক্ষে পরিষদের ১৩ সদস্য ভোট দেয়। তবে পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেয়। আরেক স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।

পাঁচটি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত। স্থায়ী পাঁচ দেশের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। তাদের কেউ কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দিলে তা নিরাপত্তা পরিষদে আর পাস হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451