বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, পরিবর্তন করা হয়েছে : আইনমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রোহিত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ করা হয়েছে।

আমরা দেখলাম এতই পরিবর্তন আনা হচ্ছে যে সেখানে ডিজিটাল সিকিউরিট আইনকে রোহিত করে ঠিক তার জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আসলে জনগণ, আইনবিদ এবং সবার জন্য সঠিক হবে, বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই আইনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে সাইবার সিকিউরটির জন্য যেসব ধারগুলো ডিজিটাল সিকিউরিট আইনে ছিল সেই ধারাগুলো এখানে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিট আইনের অনেকগুলো ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত আগে মানহানির যে ধারা ছিল কারাদণ্ড সেটি পরিবর্তন করে এখন করা হয়েছে জরিমানা অনাদায়ে ৩ অথবা ৬ মাস কারাদণ্ড থাকবে। কিন্তু মূল শাস্তি থাকবে জরিমানা। দ্বিতীয়ত, যেগুলো আগে অজামিন যোগ্য ছিল সেগুলো জামিন যোগ্য করা হয়েছে। তৃতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের পতাকা এসব নিয়ে যদি কেউ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করত তাহলে শাস্তি ছিল ১০ বছর, সেটা কমিয়ে এখন করা হয়েছে ৭ বছর।

তিনি বলেন, প্রতিটি আইনে যেখানে দ্বিতীয়বার সাজা হওয়ার কথা ছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে প্রথমবার যে সাজা হবে দ্বিতীয়বারও সেই সাজান হবে। সাইবার সিকিউরিটির ব্যাপারে আইনের কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।

৪৩ ধারায় পুলিশের পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশী এবং গ্রেপ্তারের যে ধারটা ছিল সেটা কি পরিবর্তন হয়েছে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বা সাইবার ক্রাইম যেগুলো হয় সেটা তাৎক্ষণিকভাবে যে যন্ত্র দ্বারা করা হয়েছে সেটা যদি জব্দ করা না হয় তাহলে সাক্ষ্য-প্রমাণ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নতুন আইনে এই ধারাটা আছে।

আগের আইনের মামলা চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা চলবে কিন্তু সেটা সাইবার নিরাপত্তা আইনে চলবে।

কবে থেকে এই আইন চালু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদের অধীবেশন বসবে সেখানে এই আইনটি পেশ করা হবে তখন সেটা পাস করা হবে।

আগের আইন নিয়ে মানবাধিকার অনেক সংস্থা বা সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এমনকি তারা অনেক কিছু সুপারিশ করেছিলেন। তাদের সুপারিশ আমলে নিয়ে কি এই আইন পরিবর্তন করা হয়েছে বা এই আইনে তারা কি সন্তুষ্ট হবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা সন্তুষ্ট হবে কিনা সেটা তাদের বিষয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও আমিসহ আমরা সবাই দেখে বসেছি যে জনগণের এবং এই আইনটি যে কারণে করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যটা ভালোভাবে পালন করা যাবে সেটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য, আমরা সেটাই করেছি।

জাতিসংঘ থেকে ২৮, ২৯ ও ৩০ এই ধারা বাতিলের কথা বলা হয়েছিল সেটা কি বাতিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলেছি এগুলো বাতিল করা যাবে না এগুলো সংশোধন করা হবে; আমরা সেটাই করেছি।

এই সংশোধনের পরে আপনি কি মনে করছেন সাংবাদিকদের হয়রানি কমবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি অবশ্যই মনে করি হয়রানি কমবে।

২৮, ২৯ ও ৩০ এর কয়টা ধারা পরিবর্তন হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ২৮-এ সাজা কমানো হয়েছে এবং টা আগে ছিল অজামিন যোগ্য বর্তমানে এটি জামিন যোগ্য করা হয়েছে। ২৯-এ সাজা ছিল কারাদণ্ড এখন সেটা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখানে শাস্তি হবে শুধু জরিমানা (২৫ লাখ টাকা); অনাদায়ে ৩ অথবা ৬ মাস জেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451