ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠি শহরতলীতে পর্নগ্রাফি তৈরী ও বিক্রির
সাথে জড়িত একটি চক্র এক কিশোরীকে ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনের ভিডিও
ধারনের বিষয় এলাকায় জানাজানির পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ও তোলপাড় সৃষ্টি
হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা স্থানীয় পৌরকাউন্সিলর, ধর্ষকের দুই খালু সহ এক
স্থানীয় প্রভাবশালী মিলে শালিশ মিমাংশার নামে একলাখ টাকার বিনিময়ে
ধর্ষিতা ও তার পিতা-মাতার ৩শ টাকার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নিয়েছে
বলে অকিবহল সূত্র জানিয়েছে।
তবে ধর্ষনের পুরো ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঝালকাঠি বিভিন্ন
স্তরে সহ সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ায় এনিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষিতা কিশোরী লজ্জায়-ঘৃনায় ঘর থেকে বেড়
হতে পারছেনা, এমন কি একাধিক বার সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে
বলে জানাগেছে।
এলাকার অধিবাসী এক প্রবীন জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় ছাত্র-যুব
সংগঠনের কয়েক নেতা জানায়, ঝালকাঠি শহরতলীর বিকনা গ্রামের এ
কিশোরী (১৫)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একই এলাকার মনির হোসেন ওরফে
ইট মনিরের ল্যম্পট পুত্র হিমেল (২০) স্থানীয় এক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে
ধর্ষন করে। শুধু তাই নয়, এসময় কৌশলে তার এক সহযোগীকে দিয়ে পুরো
ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারন করে কিশোরী কে জিম্মি করার কৌশল নেয়।
পরবর্তীতে ল্যম্পট হিমেল ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে পুনরায় দেখা
করার জন্য ডাকলে সে ‘যাবেনা জানিয়ে দিলে’ নরপশুরা পূর্বে ধর্ষনের
ভিডিওটি ইন্টারনেটের ছড়িয়ে দেয়। মূহূর্তে এঅশ্লীল ভিডিও চিত্র
ঝালকাঠি শহর সহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পিতা-মাতা
লজ্জা-গ্লানী ও সামাজিক সম্মানের ভয়ে ভেঙ্গে পড়ে। বর্তমানে এ কিশোরী
সহ তার পিতামাতা লোকলজ্জা আর বিচার চাইতে না পেরে যে কোন ধরনে
অঘটন ঘটিয়ে বসতে পারে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে।
তারা আরো জানায়, অবস্থা বেগতিক দেখে ল্যম্পট হিমেলের পিতা মনির
হোসেন ওরফে ইট মনির তার আপন দুই ভায়রা কবির খলিফা ও বাদল হাওলাদারের
কাছে ছুটে যায় এবং ছেলেকে রক্ষায় তাদের সাহায্য কামনা করলে তারা
স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় আঃ গনি খলিফা সহ বেশ কয়েক জনকে নিয়ে
ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়দের ধরপাকর করে এক শালিশ
বৈঠকে বসে।
শালিশ বৈঠকে ধর্ষিতা কিশোরীর ভবিষ্যত ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধর্ষক-
ল্যম্পট হিমেলের পিতা মনির হোসেন কে দেড় লাখ টাকা জড়িমানার
সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সাথে পর্নোভিডিওটি নষ্ট করে ফেলা সহ ইন্টারনেট
থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩শ টাকার ষ্টাম্পে সকলের
স্বাক্ষর গ্রহন করে। পরে ধর্ষিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরন বাবদ ১লাখ টাকা ও
শালিশী আয়োজনসহ শালিশদারদের ব্যয় বাবদ বাকী ৫০ হাজার টাকা
ভাগবাটোয়ারা করেন।
অভিযোগকারীদের দাবী, এই চক্রটি একাধিক মেয়ের সাথে অপকর্ম
করে পর্নোগ্রাফী তৈরী ও বিক্রির সাথে জড়িত। তাই বিষয়টি
পর্নোগ্রাফী আইনের আওতায় নিয়ে উক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে নির্যাতিত কিশোরী সহ তার
পরিবারকে রক্ষার দাবী জানিয়েছে।