মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

এখনো প্রতি লিটার ডিজেল লোকসান ৬ টাকা

অনলাইন ডেক্স
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে
এখনো প্রতি লিটার ডিজেল লোকসান ৬ টাকা

বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতি লিটার ডিজেল কিনতে বিপিসির খরচ হচ্ছে ১২০ টাকা। নতুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে ১১৪ টাকা। এখনো প্রতি লিটারে লোকসান দিতে হচ্ছে ছয় টাকা। ’

অকটেনে লিটারে বিপিসির ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন, বিপিসির কাছে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে তা দিয়ে কয়েক মাস চললে তেলের দাম বাড়াতে হতো না।

কিন্তু এ কথা ঠিক না। এফডিআরের টাকা দিয়েই আমরা তেল আমদানি করেছি। ’

 

বুধবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লিয়াজোঁ অফিসে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপিসি কর্তৃক ইআরএল ইউনিট-২, এসপিএম, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, জেট এ-১ পাইপলাইন, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনসহ ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সরকার ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্পটি (যার ব্যয় প্রায় ১৯ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা) বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে মুনাফার একটি অংশ বিপিসি প্রকল্পের নামে এফডিআর করা হয়। ’

এ বি এম আজাদ বলেন, ‘বিপিসির পেমেন্টগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। বিশ্ববাজারে তেলের ঊর্ধ্বগতি পর্যবেক্ষণ করছিল বিপিসি। এফডিআর ভেঙে গত ছয় মাস তেল কিনেছে সরকার। তেল সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য এসব ব্যবস্থা। প্রকল্পের টাকায় তেল কিনে তা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩০ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে। ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রল এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুদ আছে। তবে এরই মধ্যে আমদানির পাইপলাইনে থাকা তেল দেশে এসে যাবে। কারণ ছয় মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। আমদানি করা অপরিশোধিত পেট্রল ও অকটেনের কারণে দাম বেড়েছে। সুতরাং পেট্রল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে তেল বিক্রি হচ্ছে তাতেও বিপিসির লোকসান দিতে হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে বিপিসি লোকসান দিয়েছে আট হাজার ১৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বিপিসি ক্রমান্বয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লোকসান দিয়েছে ৫৩ হাজার পাঁচ কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451