শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বিমানবন্দরে দুটি স্ক্যানারই নষ্ট,পাঁচ দিন ধরে ভরসা এখন কুকুর

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দুটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) পাঁচ দিন ধরে বিকল হয়ে আছে। এতে ইউরোপে ৫০ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি করা যায়নি। ফলে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লোকসান গুনেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই জানিয়ে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ দুই দেশের মধ্যে কার্গোবাহী সরাসরি ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য। পরে তাদের পরামর্শে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউর্ড সিকিউরিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিকল্প হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডগ স্কোয়াডের কুকুর দিয়ে ইউরোপে রপ্তানিযোগ্য সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের নিরাপত্তা তল্লাশি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন বাই ডগ (ইডিডি) করানো হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি ধীরগতির হওয়ায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্যের জট সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই জানিয়ে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ দুই দেশের মধ্যে কার্গোবাহী সরাসরি ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য। পরে তাদের পরামর্শে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউর্ড সিকিউরিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তারই অংশ হিসেবে শাহজালাল বিমানবন্দরে রপ্তানিমুখী কার্গো পণ্য তল্লাশিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুটি ইডিএস বসানো হয়। সব মিলিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কার্গোবাহী সরাসরি ফ্লাইট চলাচলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে যুক্তরাজ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইডিএস দুটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে বেবিচক। তবে পণ্যের চাপ বেশি পড়লে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। সচল থাকলে ডবল ভিউ স্ক্যান পদ্ধতির কারণে দ্রুত ইডিএস দিয়ে পণ্য তল্লাশি করা যায়। এগুলো অচল হওয়ায় ডিএমপির চারটি কুকুর দিয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতি (ইডিডি) অনুসরণ করে পণ্য তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়।

অবশ্য শাহজালাল বিমানবন্দরে ইডিএস মেশিন দুটি প্রায়ই বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে। একটি সচল হলেও আরেকটি ইডিএস অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে। ফলে সচল যন্ত্রটির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। করোনার কারণে কিছুদিন পণ্য রপ্তানি কম হওয়ায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে কয়েক মাস ধরে পণ্য রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় দুটি ইডিএসে ত্রুটি দেখা দেয়। একটি বেশ কিছুদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে, দ্বিতীয়টি গত শুক্রবার বিকল হয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইডিএস দুটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে বেবিচক। তবে পণ্যের চাপ বেশি পড়লে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। সচল থাকলে ডবল ভিউ স্ক্যান পদ্ধতির কারণে দ্রুত ইডিএস দিয়ে পণ্য তল্লাশি করা যায়। এগুলো অচল হওয়ায় ডিএমপির চারটি কুকুর দিয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতি (ইডিডি) অনুসরণ করে পণ্য তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়। এই পদ্ধতিতে পণ্যের কার্টনের চারপাশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি করানো হয়। তবে তার জন্য কুকুরগুলোকে দীর্ঘ সময় বিশ্রাম দিতে হয়। ফলে ইডিডি স্বীকৃত পদ্ধতি হলেও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

দুটি ইডিএস নষ্ট থাকায় ইউরোপে সবজি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইডিএস নষ্ট থাকায় প্রতিদিন ১০ মেট্রিক টন সবজি বিমানবন্দর থেকে ফেরত আনতে হচ্ছে। এসব সবজি স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। অন্যদিকে পণ্য না যাওয়ায় ইউরোপের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিএফভিএপিইএর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে লাউ, শিম, চিচিঙ্গা, জালি, পটোল, কাঁকরোল, শসা, কচু, লতি, আমড়া, জলপাই, লেবু ইত্যাদি সবজি ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় রপ্তানি হয়।

এদিকে সাত দিনের মধ্যে ইডিএস চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। গতকাল তিনি বলেন, ইডিএসে বিয়ারিং নষ্ট হয়ে গেছে। বাইরে থেকে এটি আনতে হবে। ভারত ও দুবাই থেকে দুজন প্রকৌশলী আসবেন। তাঁদের যেন ভিসা জটিলতা না হয়, সেটিও সমাধান করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451