শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

গুরুদাসপুরে অবহেলিত ৪টি ইউনিয়নের পাকা সড়ক এলাকাবাসীর দূরভোগ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

Gurudaspur pic- 29.08.2016 (1)Gurudaspur pic- 29.08.2016 (2)Gurudaspur pic- 29.08.2016 (3)

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

দেখার কেউ না থাকায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট, নাজিরপুর, চাপিলা ও মশিন্দা

ইউনিয়নের অবহেলিত পাকাসড়কগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে মানুষ ও যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে

পড়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর পৌরসদরের অন্যতম বাণিজ্যিক মোকাম চাঁচকৈড় থেকে

বিলদহর বাজার পর্যন্ত বিয়াঘাট ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১০ কিলোমিটার পাকাসড়কের

ইটসুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় খাদে পরিণত হয়েছে। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটিতে জরুরী ঔষুধ

সরবরাহের গাড়ি, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, শতশত মোটরসাইকেল, সিএনজি, টেম্পু, অটোরিকসা-

ভ্যান, ট্রলি এমনকি গরু-মহিষের গাড়িও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। সংস্কার না করায় এ সড়কের

বেশিরভাগ স্থানে পানি জমে থাকে। ফলে অচল হয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার সাথে গুরুদাসপুর

উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

অপরদিকে চাঁচকৈড় রসুনহাটা ব্রীজ থেকে আনন্দনগর মাদ্রাসা পর্যন্ত, খলিফাপাড়া থেকে নারায়নপুর

হয়ে নাজিরপুর পর্যন্ত ১০কিলোমিটার, মশিন্দা ইউনিয়নের জাকেরের মোড় থেকে শিকারপাড়া আলিয়া

মাদ্রাসা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, হামলাইকোল বাগানের মাঝরাস্তার হাফ কিলোমিটার, মোল্লাবাজার

থেকে সামাদের মোড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, নাজিরপুর থেকে মহিষমারী ও নাছিয়ারকান্দি হয়ে বিলদহর

পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এবং হালসা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, চাপিলা ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা থেকে

পুরুলিয়া বাজার পর্যন্ত ১০কিলোমিটার পাকাসড়ক অজ¯্র খানাখন্দে পরিণত হয়ে সকল প্রকার যান ও

মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ মেইন সড়কগুলো গুরুদাসপুর সদর থেকে সিংড়া

উপজেলা ও নাটোর জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।

এলাকাবাসীরা জানান- আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে এসব

খানাখন্দে প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ ও মালবাহী পরিবহন। তবুও সড়ক

বিভাগ বা জনপ্রতিনিধিরা কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আওয়াল বলেন- বর্ষার কারণে উপজেলার

অনে ক সড়কই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা কিছু ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সার্ভে করে সংস্কারের

ব্যবস্থা নিয়েছি। যা চলতি অর্থ বছরেই সম্পন্ন করা হবে এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451