জয় মহন্ত অলক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার
হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমানকে
সাময়িক বরখাস্থ করেছে স্থানীয় মন্ত্রণালয়।
ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রটি
ঠাকুরগাঁও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত মুখ্য
বিচারিক হাকিম মোল্লা সাইফুল আলমের আদালতে প্রেরণ করায় তাঁকে সাময়িক
বরখাস্থ করে মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার, পলী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট
ঘেঁটে জানা গেছে, গত বুধবার সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের
উপসচিব মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর
রহমানকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়।
ওই পত্রে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র
আদালত গ্রহণ করায় তাঁর দ্বারা ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থ পরিপন্থী বলে সরকার মনে
করে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্থ করা হলো।
জানাযায়, উপজেলায় ইউপি নির্বাচন হয় গত ২৩ এপ্রিল। ২৬ এপ্রিল দুপুরে
নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করা হয়।
মিছিলকারীরা ওই ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের
সাটিয়া গ্রামে ঢুকে তান্ডব চালান। এতে মিছিলকারীদের হামলায় পরাজিত
চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যসহ পাড়ার অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এ সময়
হামলাকারীরা পরাজিত চেয়ারম্যানের ঘরে টাঙানো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি
মাটিতে ফেলে ভাঙচুর করেন। পরে এ ঘটনায় পরাজিত চেয়ারম্যানের ভাই মো. জালালউদ্দীন
বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল থানায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সম্প্রতি ওই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে সিদ্দিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ
পাওয়া যায়। তবে সিদ্দিকুরের বড় ভাই মাহাবুবুর রহমান গতকাল মুঠোফোনে
সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরখাস্থের খবর আমরা পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল ইসলাম গতকাল
মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের বরখাস্থের বিষয়টি শুনেছি।
আশা করি, শিগগিরই ওই কাগজপত্র পেয়ে যাব। কাগজ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
নেওয়া হবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম
খন্দকার বলেন, ‘আমি বরখাস্থের বিষয়টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।