শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আবরার হত্যা: এবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন মেফতাহুল

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম ওরফে জিয়ন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মেফতাহুলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আবরার হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিলেন মেফতাহুল। এর আগে আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দেন আসামি ইফতি মোশাররফ।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মেফতাহুলকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান মেফতাহুলের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আদালতের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়েছে, আবরার হত্যা মামলার দায় স্বীকার করে এর আগে ইফতি মোশাররফ নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি মেফতাহুল ইসলামও আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এটি ইফতিই আদালতকে বলেছেন। মেফতাহুল নিজেও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিতে চান। পরে আদালতের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন মেফতাহুল। প্রতিবেদনে পুলিশ আরও জানিয়েছে, হলের ভিডিও ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আসামি মেফতাহুল ইসলাম আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

মেফতাহুল বুয়েটের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেরেবাংলা হলের ৫০৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার আসামি ইফতি মোশাররফ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, আবরার ফাহাদকে ক্রিকেটের স্টাম্প আর প্লাস্টিকের মোটা দড়ি (স্কিপিং রোপ) দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন আবরার। তাঁকে মাটি থেকে তুলে আবারও পেটানো হয়। কয়েক ঘণ্টা পর বমি করতে শুরু করেন আবরার। তিনবার বমি করার পর নিস্তেজ হয়ে যান তিনি।

এর আগে আবরার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি অমিত সাহা ও হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।

এদিকে আবরার হত্যার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে এ কথা জানিয়েছেন।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। গত রোববার রাতে তাঁকে নিজ কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এখন পর্যন্ত আবরার হত্যায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451