রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন

বালাসী-বাহাদুরাবাদ রেলওয়ে ফেরিঘাট বন্ধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলের মূল্যবান সম্পদ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের বালাসী-

বাহাদুরাবাদঘাট রুট দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকলেও রেলের মূল্যবান সম্পদ খোলা

আকাশের নিচে পড়ে থেকে অযতেœ-অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ

কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।

প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট

ও অলাভজনক বিবেচনায় ২০০৫ সালের জুলাই মাসে এই নৌরুটটি পরিত্যক্ত

ঘোষিত হয় এবং ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বালাসী রেলওয়ে ফেরীঘাটে

বিভিন্ন নৌযান, যন্ত্রপাতি ও মূল্যবান সরঞ্জাম খোলা আকাশের নিচে পড়ে

থেকে অযতেœ অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তদুপরি অধিকাংশ নৌযান ও

ফেরীঘাটে ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এখনও বহাল তবিয়তে চাকরীতে

থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে চলেছেন। ফলে প্রতিমাসে রেলওয়েকে বেতন

বাবদ গচ্ছা দিতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা।

জানা গেছে, বালাসী ফেরীঘাটে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মীরজুমলা,

ঈশা খাঁ, তিতুমীর, বইরম খাঁ নামের চারটি টাগ (ইঞ্জিন যান),

ওয়াগনবাহী বার্জ তিনটি, একটি ফেরি পন্টুন, একটি ভাসমান মেরিন

ওয়ার্কসপ, একটি ঝালাই বোট, একটি মেরিন ইন্সপেক্টর অফিস কাম ষ্টোর,

একটি শোরগার্ডার, একটি মার্কি বোর্ড। এসব ভ্যাসেলের মধ্যে মাল

ওয়াগন লেডিং বার্জ ও মাল ওয়াগন বহনকারি টাগগুলো বর্ষাকালে ও বর্ষা

পরবর্তী দুই থেকে তিন মাস নদীর নাব্যতার ভিত্তিতে সীমিতভাবে চালু রাখা

হলেও বাকি সময় ওই যানগুলোও নদীতীরে অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকে। ফলে এসব

ইঞ্জিন ও অন্যান্য যানবাহনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কোটি

কোটি টাকার মূল্যের এসব নৌযান অযতœ-অবহেলার ফলে দিনদিন ধ্বংস

হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বালাসী রেলওয়ে ঘাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে

রেললাইন, রেলপাত, ¯িপার, নাট-বল্টুসহ বিভিন্ন লোহালক্কর। এসব যন্ত্রপাতি

দিনের পর দিন চুরি হয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451