নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও দালাল চক্রের
সক্রিয়তায় বাল্য বিয়ের হিরিক।
জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দালাল চক্রের সক্রিয়তা ও কৌশলের
কারনে বাল্য বিয়ে আশংঙ্কা জনক হরে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার
চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে বাল্য বিয়ের সংখ্যা তুলনা মূলক বেশি। তথ্য
সুত্রে জানা যায় শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সমস গ্রামের শ্রীপুর ও
কাপাশিয়া ইউনিয়নেনর দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজী মান্নানের বাড়ির ২০ গজ
থেকে ৫০০ গজের মধ্যে ২ সপ্তাহে ৩টি বাল্য বিয়ে সংঘটিত হয়েছে। দক্ষিন
সমস গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার স্কুল পড়–য়া কন্য মাহুমা খাতুন। পূর্ব
ছাপড়হাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, বিদ্যালয়ের ভর্তি
রেজিস্টার অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯/০৭/২০০৫ ইং ক্লাস রোল -৩১। একই
গ্রামের আলম মিয়ার কন্যা আলেমা খাতুনও পূর্ব ছাপড়হাটি উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী তার জন্ম
তারিখ ০৬/০৭/২০০৫ ইং ক্লাস রোল -৬২। এদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে কাজী
আব্দুল মান্নান রাজী না হওয়ায় ঐ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র দালাল
চক্রের হোতা আঃ খালেকের নেত্রীত্বে মালেক পিতা আঃ মজিদসহ ১০-১২ জনের
সমন্বয়ে গঠিত দালাল চক্রটি সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে
কন্ট্রাকের মাধ্যমে জন্ম সনদ জালিয়াতি করে বাল্য বিয়ের কাজ কৌশলে
চালিয়ে যাচ্ছে। কাজী আব্দুল মান্নান জানান ১১/১২ বছরের মেয়েদের বিয়ে
রেজিঃ না করার কারনে গ্রামের দালাল চক্রটি আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি
দিয়ে আসছে। দালাল চক্রটি নাবালক ছেলে মেয়েদেরকে পার্শ্ববর্তী
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় নিয়ে গিয়ে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে রেজিঃ করাসহ
বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ন করে আসছে। সম্প্রতি একই
গ্রামের মহসিন আলীর কন্যা লাইলি খাতুন বয়স ১১ বছর এর বিয়ে
মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাজী হাফিজার রহমানের দ্বারা রেজিঃ করে। জানা যায়
উক্ত নাবালিকা ২০১৫ সালে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় সোনার বাংলা
সংস্থার পরিচালিত স্কুল থেকে অংশ গ্রহন করেছিল। মেয়ের পিত্রালয়ে
সামাজিক কাজ করার প্রস্তুতি নিলে কাজী মান্নান বিষয়টি সুন্দরগঞ্জ
থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করিলে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের
এ এস আই আল আমিনের নেত্রীত্বে ৬-৭ জন পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে
বিয়ের যাবতীয় কাজ পন্ড হয়ে যায়। এ ব্যাপারে মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাজী
হাফিজার রহমানের কাছে মুঠোফনে যানতে চাওয়া হলে তিনি জানান
আমার মাধ্যমে শ্রীপুর ইউনিয়নের কোন বিয়ে রেজিঃ হয়নি। তিনি আরো
জানান দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামের চাঁন মিয়া (কালা চাঁন) গাইবান্ধা থেকে
রেজিঃ বই নিয়ে এসে নাবালক মেয়েদের বিয়ে রেজিঃ করছেন। চাঁন মিয়ার
(কালা চাঁন) নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান
কাজী হাফিজারের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে রেজিঃ করা হচ্ছে। তিনি আরো
জানান মহসিনের কন্যা লাইলির বিয়ে রেজিঃ করার পর অবস্থা বেগতিক দেখে
পরে রেজিঃ বাতিল করেছেন। এসব বিয়ে পরান দক্ষিণ সমশ নতুন জামে
মসজিদের ইমাম মৌলভী রশিদ। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা, জেলা
পুলিশ সুপার গাইবান্ধার হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন ্ধসঢ়;এলাকার সচেতন মহল।