রামগঞ্জ প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার আলীপুর উচ্চ
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম মিয়ার বেত্রাঘাতে আহত দশম
শ্রেনীর ছাত্রী হাসনা আক্তার মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
একাধিক সুত্রে জানাযায়, টানা ভারী বর্ষনে গত মঙ্গলবার
হাসনা আক্তার স্কুল ড্রেস বিহিন বিদ্যালয় উপস্থিত হয়। পাঠদান
শুরুতে প্রধান শিক্ষক একাধিক বেত হাতে নিয়ে দশম শ্রেনীতে
প্রবেশ করে। এ সময়ে ড্রেস বিহিন শিক্ষার্থীদেরকে সনাক্ত করে ক্ষীপ্ত
হয়ে এলোপাতাড়ী হাসনা আক্তার সহ প্রায় ১০/১৫জন শিক্ষার্থীকে
প্রহার করে। এ সময়ে হাসনার আক্তার মাথায় ৪টি বেত্রাঘাতে গুরুতর
আহত হয়ে শ্রেনী কক্ষে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে হাসনার
স্বজনেরা সহ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকগণ হাসনাকে উদ্ধার করে
রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক
মুঠোফোন বন্ধ করে নিরুদ্দেস হয়ে যায়। বিদ্যালয় কত্তৃপক্ষ
ঘটনাটি এড়ানো লক্ষ্যে পূর্ণ চিকিৎসার পূর্বে হাসনার
স্বজনদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
সরজমিনে উপজেলার আলীপুর গ্রামে হাসনা আক্তারের বসত বাড়িতে
উপস্থিত হলে তার পিতা হানিফ মিয়াসহ স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে
পড়ে। বাড়িতে মাথায় ব্যান্ডিজ,হাতে স্যালাইন অবস্থায় হাসনা আক্তার
বলেন, স্যার সবাইকে হাতে বেত্রাঘাত করলেও আমার মাথায় ৪টি
বেত্রাঘাত করে। আমি জ্বরে,এবং মাথা ব্যাথা চোখে দেখিনা।
হাসনার পিতা হানিফ মিয়াসহ স্বজনেরা জানান, অসুস্থতার
বিষয়টি পত্রিকা প্রকাশ করতে বারন করে এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে
প্রশাসনিক শাস্তির দাবী করে।
শিক্ষক মো: সেলিম মিয়া বেত্রাঘাতে ঘটনাটি সত্যতা স্বীকার করে ।
তিনি বলেন ঘটনার পরেই আমি স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে
ছিলাম। মুঠোফোন ত্রুটির কারনে মোবাইল রিসিভ করতে পারেনি।
বিদ্যালয় সভাপতি আক্কাছ মাষ্টার বলেন, বেত্রাঘাত ঘটনাটি শুনেছি
এবং ছাত্রীর চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান ভ’ইঁয়া বলেন, অভিভাবকের
লিখিত পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস্থ করে।