ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করেও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ঝালকাঠির নলছিটির সেই সোহেল রানাকে ফুলের তোড়া, শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক উপহার দিয়েছেন এক শিক্ষানুরাগী। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত আবদুল লতিফ খসরু সোহেল রানাদের চায়ের দোকানের সামনে বসে উপহারসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় সোহেল রানার বাবা তোফাজ্জেল হোসেন ও মা হ্যাপি বেগম উপ¯ি’ত ছিলেন। খবর পেয়ে লঞ্চঘাট এলাকার ওই দোকানের সামনে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। তাঁরাও সোহেল রানার কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেন। শিক্ষানুরাগী আবদুল লতিফ খসরু বলেন, সোহেল রানার সংগ্রামী জীবন ও জিপিএ ৫ নিয়ে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি পড়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। বিবেকের তাড়নায় আমি সোহেলকে দেখার জন্য নলছিটি ছুটে আসি। তার জন্য সামান্য উপহারসামগ্রী দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য নয়, তাকে একনজর দেখাটাই আমার লক্ষ্য ছিল। আমি আশা করি এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবেন। জিপিএ ৫ পাওয়া সোহেল রানা বলেন, আমাকে নিয়ে লেখা খবরগুলো শুধু দেশের মানুষই নয়, বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসীরাও দেখেছেন। আমার বাবার কাছে অনেকেই ফোন করে শুভে”ছা জানিয়েছেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই। এ জন্য অনেকেই আমাকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দি”েছন। নলছিটির ইউএনও স্যার আমার ফলাফলের খবর শুনে মিষ্টি নিয়ে আসেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। নলছিটি ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পান শহরের খাসমহল বস্তিতে বসবাসকারী সোহেল রানা। তিনি বাবার সঙ্গে লঞ্চঘাটে একটি চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া করতেন। এমনকি কলেজের সামনে ও শহরের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ চৌকি বসিয়ে জিলাপি, ছোলা ও পেঁয়াজু বিক্রি করে সংসারের ও লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন।